বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর বাঁশঝাড় থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি বাঁশঝাড় থেকে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর আশা মনি (১৪) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় ফকিরপাড়া গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আশা মনি পুনতাইড় ফকিরপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।

এর আগে, শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ির সামনে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আশা মনি। এরপর রাতভর খোঁজাখুজি করেও আশা মনির কোনো সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশঝাড়ে কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি মাসুদ মিয়া (১৯) আশা মনিকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির বাইরে বের হয় আশা মনি। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্ধকারের সুযোগে মাসুদ মিয়া আশা মনিকে আটকে রেখে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আ.ফ.ম. আসাদুজ্জামান জানান, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশি রাজা মিয়া (৪৫) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ হলে এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

 

কালের চিঠি /এএফ

জনপ্রিয়

গাইবান্ধার সাবেক ৬ এমপি সহ ৮০ জন আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধায় নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর বাঁশঝাড় থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময়: ০৩:১৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি বাঁশঝাড় থেকে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর আশা মনি (১৪) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় ফকিরপাড়া গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আশা মনি পুনতাইড় ফকিরপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।

এর আগে, শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ির সামনে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আশা মনি। এরপর রাতভর খোঁজাখুজি করেও আশা মনির কোনো সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশঝাড়ে কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি মাসুদ মিয়া (১৯) আশা মনিকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির বাইরে বের হয় আশা মনি। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্ধকারের সুযোগে মাসুদ মিয়া আশা মনিকে আটকে রেখে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আ.ফ.ম. আসাদুজ্জামান জানান, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশি রাজা মিয়া (৪৫) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ হলে এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

 

কালের চিঠি /এএফ