সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণ ফিরেছে ব্রহ্মপুত্র নদের

প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের দাপট। তীব্র দাবদাহে নদী নালা খাল বিল শুকিয়ে চৌচির। তবে ব্যতিক্রম কেবল ব্রহ্মপুত্রের চিত্র । হিমালয়ের বরফ গলা পানি আসায় গত তিন দিনে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে ৮৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

 

 

 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় , গত ৩০ এপ্রিল থেকে তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ওই দিন সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৫৯ মিটার।

 

আজ ২ মে বৃহস্পতিবার সকালে একই পয়েন্টে পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ মিটার।

 

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার, বালাসীঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এ বছর আগে থেকেই বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে । পানি বাড়ায় ইঞ্জিন চালিত ছোট বড় নৌযান গুলো আগের মতোই নির্বিঘ্নে চলাচল করছে । নৌকার মাঝি রাকিব মিয়া বলেন , প্রায় চার মাস যাবৎ নদী শুকিয়ে ছিলো তাই নৌকা চালিয়ে আয় হয়নি । গত এক সপ্তাহ থেকে পানি বাড়ায় নৌ চলাচল সহজ হয়েছে।

 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন , ‘তীব্র গরমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলের বরফ গলে এখানে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর এই সময় বরফ গলা পানিতে নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। এতে নদীর যেসব চ্যানেলগুলো শুকিয়ে গেছে, সেগুলোতে নৌ চলাচলে সুবিধা হয়।’ পানি বাড়ালেও এই অঞ্চলে আপাতত বন্যা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই ।

 

হাফিজুল বলেন, ‘উজানে বৃষ্টি হচ্ছে কি না বা কী পরিমাণ বৃষ্টি হবে সেই পূর্বাভাস এখনো আমরা পাইনি।

জনপ্রিয়

সরকার পরিবর্তনের জন্য এটি একটি সুযোগ: ইরানের সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণ ফিরেছে ব্রহ্মপুত্র নদের

প্রকাশের সময়: ০৭:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের দাপট। তীব্র দাবদাহে নদী নালা খাল বিল শুকিয়ে চৌচির। তবে ব্যতিক্রম কেবল ব্রহ্মপুত্রের চিত্র । হিমালয়ের বরফ গলা পানি আসায় গত তিন দিনে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে ৮৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

 

 

 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় , গত ৩০ এপ্রিল থেকে তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ওই দিন সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৫৯ মিটার।

 

আজ ২ মে বৃহস্পতিবার সকালে একই পয়েন্টে পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ মিটার।

 

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার, বালাসীঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এ বছর আগে থেকেই বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে । পানি বাড়ায় ইঞ্জিন চালিত ছোট বড় নৌযান গুলো আগের মতোই নির্বিঘ্নে চলাচল করছে । নৌকার মাঝি রাকিব মিয়া বলেন , প্রায় চার মাস যাবৎ নদী শুকিয়ে ছিলো তাই নৌকা চালিয়ে আয় হয়নি । গত এক সপ্তাহ থেকে পানি বাড়ায় নৌ চলাচল সহজ হয়েছে।

 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন , ‘তীব্র গরমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলের বরফ গলে এখানে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর এই সময় বরফ গলা পানিতে নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। এতে নদীর যেসব চ্যানেলগুলো শুকিয়ে গেছে, সেগুলোতে নৌ চলাচলে সুবিধা হয়।’ পানি বাড়ালেও এই অঞ্চলে আপাতত বন্যা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই ।

 

হাফিজুল বলেন, ‘উজানে বৃষ্টি হচ্ছে কি না বা কী পরিমাণ বৃষ্টি হবে সেই পূর্বাভাস এখনো আমরা পাইনি।