বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যা নিম্ন আয়ের বিপুল সংখ্যক মানুষকে সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। একইসাথে আমদানি ব্যয় মেটানোও অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে উঠে আসে এমন তথ্য।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। কবে নাগাদ সূচক নিম্নগামী হবে, তা নির্ভর করছে সঠিক নীতি গ্রহণের ওপর। দ্রুত ও সাহসী রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতের সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে কিছুটা কমে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ ভাগ। তবে পরের বছর কিছুটা বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৭ ভাগ। চলতি বছরে কমেছে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। যা বিনিয়োগে বড় মন্দার আভাস দিচ্ছে।
আবদুলায়ে সেক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ এখন প্রয়োজন। কিন্তু সতর্কভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সঠিক নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হবে। ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট নেই, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিশ্বব্যাংক কি সমর্থন করে? জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্জন প্রশংসনীয়। তবে এখন আর্থিক খাত যে চাপে রয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। স্বীকার না করলে সত্য থেকে দূরে থাকা হবে।
বলা হয়, স্মার্ট সুদ হার মূল্যস্ফীতিতে নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন, ভ্যাট ও আয়করে জোর দিতে হবে।
কালের চিঠি / আলিফ