বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লীগ সরকার পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি উন্নত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ প্রদান ও উন্নত প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবরাহসহ সময়োচিত সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমাদের সরকার সদা সচেষ্ট।

শনিবার (২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। এর আগে রাজশাহীর উদ্দেশে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া রিক্রুট প্রশিক্ষণকে আরও আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচী-আলীকদম সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমে সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবে। কর্মজীবনে সব ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও মর্যাদা। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ, দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক। তাই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের কর্তব্য সম্পাদনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।

কালের চিঠি/ আলিফ

জনপ্রিয়

লীগ সরকার পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময়: ১০:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি উন্নত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ প্রদান ও উন্নত প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবরাহসহ সময়োচিত সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমাদের সরকার সদা সচেষ্ট।

শনিবার (২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। এর আগে রাজশাহীর উদ্দেশে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া রিক্রুট প্রশিক্ষণকে আরও আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচী-আলীকদম সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমে সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবে। কর্মজীবনে সব ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও মর্যাদা। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাসদস্যগণ নিরলসভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ, দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক। তাই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের কর্তব্য সম্পাদনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।

কালের চিঠি/ আলিফ