বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা!

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সরকার ভবিষ্যতে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা করছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক মহাপরিচালক তাকেও কনিশির সঙ্গে আজ সচিবালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডিবির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক মহাপরিচালক ও কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।

 

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এডিবি বিদ্যুৎ বাজার স্থাপনে সহায়তা করতে পারে, যা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘শীতকালে নেপাল কিংবা ভুটানেও বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যেতে পারে। আমাদের ভবিষ্যতে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা আছে।’

 

সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এডিবির মহাপরিচালক তাকেও কনিশি জ্বালানিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, ইলেকট্রিক গাড়ির রোডম্যাপ, জ্বালানি দক্ষতা ও সোলার সেচ, আঞ্চলিক সংযোগ এবং প্রকল্প প্রস্তুতির জন্য অর্থায়ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘জ্বালানির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণে একজন ভালো পরামর্শক প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এডিবি সহায়তা করতে পারে। সর্বোচ্চ সম্পদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ভর্তুকি কমাতে বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে। ১৩ লাখ ডিজেল পাম্পকে সোলার পাম্পে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও যৌথ ডেটা সেন্টার স্থাপনে একসঙ্গে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

 

উল্লেখ্য, এডিবি বিদ্যুৎ খাতে সাতটি প্রকল্পে ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। ২০২৩ সালে প্রায় ৩৬ কোটি ডলার মূল্যের দুটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।

 

 

এছাড়া এডিবির অর্থায়নে তিনটি প্রকল্প চলমান এবং পাঁচটি প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে।

 

কালের চিঠি/ ফাহিম

জনপ্রিয়

৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা!

প্রকাশের সময়: ১০:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সরকার ভবিষ্যতে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা করছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক মহাপরিচালক তাকেও কনিশির সঙ্গে আজ সচিবালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডিবির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক মহাপরিচালক ও কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।

 

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এডিবি বিদ্যুৎ বাজার স্থাপনে সহায়তা করতে পারে, যা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।

 

তিনি আরও বলেন, ‘শীতকালে নেপাল কিংবা ভুটানেও বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যেতে পারে। আমাদের ভবিষ্যতে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা আছে।’

 

সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এডিবির মহাপরিচালক তাকেও কনিশি জ্বালানিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, ইলেকট্রিক গাড়ির রোডম্যাপ, জ্বালানি দক্ষতা ও সোলার সেচ, আঞ্চলিক সংযোগ এবং প্রকল্প প্রস্তুতির জন্য অর্থায়ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘জ্বালানির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণে একজন ভালো পরামর্শক প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এডিবি সহায়তা করতে পারে। সর্বোচ্চ সম্পদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ভর্তুকি কমাতে বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে। ১৩ লাখ ডিজেল পাম্পকে সোলার পাম্পে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও যৌথ ডেটা সেন্টার স্থাপনে একসঙ্গে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

 

উল্লেখ্য, এডিবি বিদ্যুৎ খাতে সাতটি প্রকল্পে ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। ২০২৩ সালে প্রায় ৩৬ কোটি ডলার মূল্যের দুটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।

 

 

এছাড়া এডিবির অর্থায়নে তিনটি প্রকল্প চলমান এবং পাঁচটি প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে।

 

কালের চিঠি/ ফাহিম