
চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটি সংক্রামক রোগ। যা ভেরি সেলা জোস্টার ভাইরাস দ্বারা তৈরি হয়। প্রতি বছর শীতের শেষ আর বসন্তের শুরুতে এই রোগের দেখা মেলে। গরম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ায় ভাইরাসটির আক্রমণ বেশি দেখা দেয়। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ—সবাই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
তবে শিশুদের মধ্যে এই রোগের আক্রান্তের হার একটু বেশি, বিশেষ করে ১০ বছরের কম বয়সীদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সাবধানতার পাশাপাশি খাবারের দিকে যথেষ্ট নজর দিতে হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বৃদ্ধি পায়, এজন্য শাক-সবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
নানাভাবে এই রোগ মানুষের দেহে আক্রমণ করে থাকে। বিশেষ করে বাতাসের মাধ্যমে এটি বেশি ছড়ায়। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, কাপড়চোপড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। জলবসন্তের হাত থেকে বাঁচতে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ও লম্বা হাতা পোশাক পরা জরুরি। এছাড়া কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলে এ রোগের হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তাহলে চলুন কোন কোন খাবার খেলে চিকেন পক্স থেকে রক্ষা এবং শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, তা জেনে নেয়া যাক।
নিমপাতা: নিমপাতা এমনিতেই জীবাণুনাশক । বসন্তকালে চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এজন্য এসময় বেশি করে নিমপাতা খেতে হবে। নিমপাতা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। স্বাদে তেতো হলেও এই পাতা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
টক ফল: মুসাম্বি, কমলালেবু, পাতিলেবু ডায়েটে বেশি করে রাখুন। এসব ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
সজনে: শীত ও বসন্তের এই সন্ধিক্ষণে মাঝেমাঝেই সজনে ফুল এবং ডাঁটা খেতে পারেন। এসময় বায়ুবাহিত নানা অসুখ রুখতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সজনে ফুল ও ডাটা বেশ উপকারী। বাজারে সজনে গুঁড়োও কিনতে পাওয়া যায়, সেটাও খেতে পারেন।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। সংক্রমণ জাতীয় রোগের ঝুঁকি কমায় সবুজ শাকসবজি।
টক দই: টক দই টক্সিন দূর করে, শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শরীর ভেতর থেকে টক্সিন মুক্ত থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যায়। বসন্ত রোগ ঠেকাতে তাই ভরসা রাখতে পারেন এই ধরনের প্রোবায়োটিক উপাদান যুক্ত খাবারের ওপর। এ ছাড়া দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে নানাবিধ সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
কালের চিঠি/ আলিফ