প্রায়ই চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও চানাচুরজাতীয় রকমারি ভাজা খাবার খেয়ে থাকি আমরা। কখনো সময় কাটানোর জন্য, আবার কখনো শখ করে। বাড়ির ছোট ছোট শিশু কিংবা বড়রা, সবাই পছন্দ করেন এসব খাবার। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব খাবার সংরক্ষণযোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এসব খাবার প্রস্তুত করার আগেই কয়েকবার কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। মুখরোচক করার জন্য ব্যবহার করা কেমিক্যাল অধিকাংশই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠে। তাৎক্ষণিক ক্ষতির বিষয়গুলো বুঝতে না পারলেও একসময় অনেক বড় ধরনের অসুখে ভুগতে হয় আমাদের। ব্লাড প্রেশার, ওজন বেড়ে যাওয়া, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস ও হজমজনিত সমস্যা হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন ও ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার তাহলে সেই প্রতিবেদন অবলম্বনে চিপসের মতো খাবারগুলোর ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেয়া যাক।
লিভারের সমস্যা: চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইর মতো প্রসেসড ফুড লিভারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব খাবারে কৃত্রিম রং ও ক্ষতিকার রাসায়নিক থাকে। যা লিভারের ক্ষতি করে থাকে। এমনকি এসব খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান: বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, কিছু চিপসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এসব খাবারে মেশানো সাইট্রিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক সাইট্রিক অ্যাসিডের থেকে একদম আলাদা। এ কারণে চিপস-ফ্রেঞ্চ ফ্রাইর মতো খাবার থেকে শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং পাকস্থলীর মধ্যকার লাইনিংও কমে যায়। আবার রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছে সমস্যাও করতে পারে।
কিডনির জন্য ক্ষতিকর: এ ধরনের খাবারে রাসায়নিক ও সোডিয়াম থাকে। যা সরাসরি কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিডনিতে টক্সিক উপাদানও জমার সম্ভাবনা থাকে। ফলে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি।
হার্টের সমস্যা: ভাজা খাবার খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। যা এক সময় হার্টে প্রভাব ফেলে। আবার দুটি বড় পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ বেশি ভাজা খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আর যারা ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খেয়েছেন, তাদের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি কম।
কালের চিঠি/ ফাহিম