
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়েছে।”নতুন ধানে, নতুন প্রাণে,চলো মাতি পিঠার গানে”এই উপপাদ্যকে সামনে রেখে সংগঠনটি এই আয়োজন করে।
আজ সোমবার(৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ,অঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,প্রথম আলো বন্ধুসভা(চবি) এবং ভিন্নষড়জ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নামের সংগঠনগুলো।তারা(সংগঠনগুলো)তাদের স্টলে বিভিন্ন ধরনের বাহারি ও সুস্বাদু পিঠা প্রদর্শন করেন।
যার মধ্যে ক্ষির পাটিসাপটা, ছাঁচ পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পুরি, নারিকেল পাকন, মিষ্টির মাখন, জামাই পিঠা, মুখ রঙিন, দুধচিতই, মাংসের ঝাল পিঠা, আফলাতুল, চিকেন রোল, ঝিনুক, পাটিসাপটা, খেজুর পিঠা, তেলের পিঠা, ভাপা পিঠা, ডিবি পিঠা, ডিম পিঠা, ভাজা পুলি, তালের বড়া, পাকন পিঠা, চিকেন পুলি ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের পিঠা উল্লেখযোগ্য।
পিঠা উৎসব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ আইবুর রহমান তৌফিক বলেন,”আসলে অনুভূতিটা খুবই চমৎকার,যেহেতু আমরা গ্রাম থেকে দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি।এখন নবান্ন উৎসব সেভাবে হয় না তারপরেও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে আমরা ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন পাচ্ছি এবং বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ধারণ করছি এটা সত্যিই অসাধারণ।”
অঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রলকর্মীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,”সত্যিই আমাদের খুবই ভালো লাগছে এমন আয়োজন করতে পেরে,এর মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রামীন সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন ধরনের বাহারি ও সুস্বাদু পিঠা সকলের সামনে প্রদর্শন করতে পারছি।”
এছাড়াও ভিন্নষড়জ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রলকর্মী কালের চিঠিকে বলেন,এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নিজেরাও বিভিন্ন পিঠার সাথে নতুনভাবে পরিচিত হচ্ছি এবং স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। সেই সাথে এটা আরো ভালো লাগছে যে সবাই আগ্রহ সহকারে পিঠা খাচ্ছেন তাদের এই আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে।”
পরিবার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে গ্রামীন এই পিঠা উৎসব বারবার হোক এমনটা প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ।এমন পিঠা উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের আবহমান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছি বলে মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।