বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে ২০২৪ সালের নববর্ষ উদযাপন করল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কিরিবাতি। নববর্ষ উদযাপনকারী প্রথম এই দেশটির বৃহত্তম ক্রিসমাস দ্বীপ সবার আগে নতুন বছরে পদার্পণ করেছে।
এরপরই দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নতুন বছরকে আঁতশবাজির ঝলকানিতে বরণ করে নিয়েছে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ড।
নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ৩৩টি প্রবালপ্রাচীর নিয়ে গঠিত কিরিবাতি। পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃতি রয়েছে দেশটির।
কিরিবাতির পর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডও ১১টার সময় (জিএমটি) ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে। অকল্যান্ডের বিখ্যাত স্কাই টাওয়ারে আঁতশবাজির ঝলকানি আর হারবার সেতুতে জমজমাট আলোকসজ্জা প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। আকাশে আঁতশবাজি ঝলকানির সাথে সাথে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু এই টাওয়ারের অগ্রভাগ বিভিন্ন রঙে আলোকিত হয়ে ওঠে।
নববর্ষ উদযাপনের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে অস্ট্রেলিয়াতেও আঁতশবাজির বিস্ফোরণ শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত হারবার সেতুও মধ্যরাতের আঁতশবাজির ঝলকানি ও লোক সমাগমের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। সেখানে নতুন বছরকে বরণে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠান বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো নববর্ষ উদযাপনে আঁতশবাজির প্রদর্শনীর জন্য সিডনিতে প্রচুর লোকজন জড়ো হচ্ছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে। এরপর বিশ্বে টোঙ্গা এবং সামোয়া নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে।
আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লাখ লাখ মানুষ বিশ্বজুড়ে নতুন বছরকে বরণে মেতে উঠবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বছর ২০২৪ সালকে বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ার কর্তৃপক্ষ ও নববর্ষ উদযাপন আয়োজকরা নতুন বছরকে বরণে প্রস্তুত বেলে জানিয়েছেন। সেখানে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নতুন বছর বরণে মেতে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরও ফ্রান্সও রাত ১১ টায় (জিএমটি) নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে। ইতিমধ্যে দেশটিতে নতুন বছরকে বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে ফ্রান্সের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সেলিন বার্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বিঘ্নে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশজুড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।