মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৩৩

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন চলছেই। আবারও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে সেনারা। এতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৩ জনের।

গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাবালিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

আহতদেরকে আল আওদা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। যদিও প্রয়োজনীয় ওষুধ-সরঞ্জামের অভাবে রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। আহতদের ভীড়ে সেখানে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রায় দুসপ্তাহ ধরে উত্তর গাজার ক্যাম্পটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে সেখানে। জানা গেছে, হতাহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে অনেকে। গাজার অন্যান্য এলাকাতেও হয়েছে প্রাণঘাতি হামলা।

এদিকে, মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গাজা সিটিতে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেছে ৪ জনের। উত্তর গাজায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান স্থল অভিযানে কমপক্ষে সাড়ে চারশ’ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সেদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। ওই সময় তারা প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে এবং ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে।

হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিনই গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। গত এক বছর ধরে চলা তাদের এসব নির্বিচার বর্বরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।

 

কালের চিঠি /এএফ

জনপ্রিয়

বল ভেবে ককটেল বিস্ফোরণ শিশুর মৃত্যু 

গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৩৩

প্রকাশের সময়: ০২:৫৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন চলছেই। আবারও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে সেনারা। এতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৩ জনের।

গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাবালিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

আহতদেরকে আল আওদা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। যদিও প্রয়োজনীয় ওষুধ-সরঞ্জামের অভাবে রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। আহতদের ভীড়ে সেখানে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রায় দুসপ্তাহ ধরে উত্তর গাজার ক্যাম্পটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে সেখানে। জানা গেছে, হতাহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে অনেকে। গাজার অন্যান্য এলাকাতেও হয়েছে প্রাণঘাতি হামলা।

এদিকে, মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গাজা সিটিতে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেছে ৪ জনের। উত্তর গাজায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান স্থল অভিযানে কমপক্ষে সাড়ে চারশ’ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সেদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। ওই সময় তারা প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে এবং ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে।

হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিনই গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। গত এক বছর ধরে চলা তাদের এসব নির্বিচার বর্বরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।

 

কালের চিঠি /এএফ