রিমান্ড শেষে কারাগারে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

কালের চিঠি ডেস্ক
  • Print
    1. রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে।

    ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
    বুধবার (০২ অক্টোবর) আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

    ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিএনপিকর্মী হৃদয় আহমেদকে (১৬) গুলি করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে আরও ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম খান দিলীপ আগারওয়ালাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড প্রার্থনায় তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এর আগে একই মামলায় আরেক তদন্ত কর্মকর্তা তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছিলেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তাকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যার বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।

    আসামিপক্ষ রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন নাকচ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে রিমান্ডের আদেশ দেন।

    এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার এই মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে আটক করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রাত ১০টার দিকে তার গুলশানের অফিস ঘিরে রাখেন র‌্যাব সদস্যরা। পরে ওই অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা। সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধান শুরুর পরই সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোরধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির কর্মী হৃদয় আহমেদ মারা যান। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।

     

    কালের চিঠি /এএফ