মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুর অঞ্চলের তিন নদীতে ধরা পড়েছে ৩০০ টন ইলিশ

তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে পারলে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীগুলোও ইলিশের অভয়াশ্রম হয়ে উঠতে পারে। যার বড় প্রমাণ মিলেছে চলতি বছর।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী থেকে সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ পাওয়া গেছে। দুই বছর আগে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টন।

 

 

এক সময় ইলিশ বলতে মনে করা হতো, এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাছ। কিন্তু এখন রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধরা পড়ছে ইলিশ। উত্তরের নদীগুলোতে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে এরইমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস বিভাগ। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের মতো ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে এই অঞ্চলেও। এসময় জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেযার পাশাপাশি নগদ টাকাও দেয়া হবে।

 

আরও পড়ুন: দুই দিনে ভারতে গেল ১০১ মেট্রিক টন ইলিশ

 

নিষিদ্ধ সময়ে এই অঞ্চলে ইলিশ ধরা বন্ধ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা জুবায়ের আলী বলেন, ‘ইলিশ মূলত সাগরের মাছ। যেসব নদীর সাথে সাগরের যোগ আছে, সেই সব নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়।’

 

 

তিনি বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলে বর্ষাকালে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র খরস্রোতা হয়ে থাকে, তাই ওই সময় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রে ইলিশ পাওয়া যায়। সাগর থেকে ইলিশ আসে ডিম পাড়তে। এই অঞ্চলে ইলিশের আগমন ঘটাতে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। নদীগুলোকে খরস্রোতা করতে পারলেই দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানকার নদীতেও ইলিশ পাওয়া যাবে।’

 

আরও পড়ুন:ইলিশ পেয়ে খুশি হলেও দামে ‘নাখোশ’ ভারতীয়রা

 

তবে এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগণ ও মাছ ধরা জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন সাবেক এই মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা।

 

 

রংপুর মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এক বছরে প্রায় সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে এই অঞ্চলে। সরকারের ইলিশ নিধন বন্ধ কার্যক্রমের আওতায় এই অঞ্চলের জেলেদেরও প্রণোদনা দেয়া হয়।

জনপ্রিয়

বল ভেবে ককটেল বিস্ফোরণ শিশুর মৃত্যু 

রংপুর অঞ্চলের তিন নদীতে ধরা পড়েছে ৩০০ টন ইলিশ

প্রকাশের সময়: ০৫:৫৭:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে পারলে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীগুলোও ইলিশের অভয়াশ্রম হয়ে উঠতে পারে। যার বড় প্রমাণ মিলেছে চলতি বছর।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী থেকে সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ পাওয়া গেছে। দুই বছর আগে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টন।

 

 

এক সময় ইলিশ বলতে মনে করা হতো, এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাছ। কিন্তু এখন রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধরা পড়ছে ইলিশ। উত্তরের নদীগুলোতে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে এরইমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস বিভাগ। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের মতো ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে এই অঞ্চলেও। এসময় জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেযার পাশাপাশি নগদ টাকাও দেয়া হবে।

 

আরও পড়ুন: দুই দিনে ভারতে গেল ১০১ মেট্রিক টন ইলিশ

 

নিষিদ্ধ সময়ে এই অঞ্চলে ইলিশ ধরা বন্ধ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা জুবায়ের আলী বলেন, ‘ইলিশ মূলত সাগরের মাছ। যেসব নদীর সাথে সাগরের যোগ আছে, সেই সব নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়।’

 

 

তিনি বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলে বর্ষাকালে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র খরস্রোতা হয়ে থাকে, তাই ওই সময় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রে ইলিশ পাওয়া যায়। সাগর থেকে ইলিশ আসে ডিম পাড়তে। এই অঞ্চলে ইলিশের আগমন ঘটাতে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। নদীগুলোকে খরস্রোতা করতে পারলেই দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানকার নদীতেও ইলিশ পাওয়া যাবে।’

 

আরও পড়ুন:ইলিশ পেয়ে খুশি হলেও দামে ‘নাখোশ’ ভারতীয়রা

 

তবে এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগণ ও মাছ ধরা জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন সাবেক এই মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা।

 

 

রংপুর মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এক বছরে প্রায় সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে এই অঞ্চলে। সরকারের ইলিশ নিধন বন্ধ কার্যক্রমের আওতায় এই অঞ্চলের জেলেদেরও প্রণোদনা দেয়া হয়।