রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা মোদির

জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, সেখানে দ্রুতই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) জম্মু-কাশ্মীরের উধামপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় এ ঘোষণা দেন মোদি।

ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারা বলে একটি অনুচ্ছেদ ছিল। এই ৩৭০ ধারার অধীনে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতায় আসার পরপরই মুসলিম প্রধান জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

৩৭০ ধারার কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো। হিমালয় পাদদেশের অঞ্চলটিকে নিজেদের সংবিধান ও আলাদা পতাকার অধিকারও দেওয়া হয়েছিল।

তবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুরোপুরি মুছে ফেলে একে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়।

ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতও জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে হতাশ করে।

গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া এক রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সিদ্ধান্ত `অসাংবিধানিক` নয় বলে রায় দেয় আদালত।

তবে আদালতের পক্ষ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য আদেশ দেওয়া হয়।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে সংবিধানের বিলুপ্ত ৩৭০ ধারা আবার সক্রিয় করা বা বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট করা হয়নি।

প্রতিবেদন মতে, জনসভায় মোদি বলেছেন, সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকে তার নিজের পছন্দের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেছে নেবেন।

মোদি আরও বলেন, এত দিন এই বিষয়ে যা দেখেছেন তা কেবল ট্রেলার। জম্মু-কাশ্মীরের এক নতুন ও সুন্দর প্রতিচ্ছবি বানানোর কাজে আমাকে নামতে হবে।

কালের চিঠি / আশিকুর

জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা মোদির

প্রকাশের সময়: ০৪:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, সেখানে দ্রুতই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) জম্মু-কাশ্মীরের উধামপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় এ ঘোষণা দেন মোদি।

ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারা বলে একটি অনুচ্ছেদ ছিল। এই ৩৭০ ধারার অধীনে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতায় আসার পরপরই মুসলিম প্রধান জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

৩৭০ ধারার কারণে জম্মু ও কাশ্মীর অন্য যেকোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্বশাসন ভোগ করতো। হিমালয় পাদদেশের অঞ্চলটিকে নিজেদের সংবিধান ও আলাদা পতাকার অধিকারও দেওয়া হয়েছিল।

তবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুরোপুরি মুছে ফেলে একে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়।

ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতও জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে হতাশ করে।

গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া এক রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সিদ্ধান্ত `অসাংবিধানিক` নয় বলে রায় দেয় আদালত।

তবে আদালতের পক্ষ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য আদেশ দেওয়া হয়।

ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে সংবিধানের বিলুপ্ত ৩৭০ ধারা আবার সক্রিয় করা বা বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট করা হয়নি।

প্রতিবেদন মতে, জনসভায় মোদি বলেছেন, সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকে তার নিজের পছন্দের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেছে নেবেন।

মোদি আরও বলেন, এত দিন এই বিষয়ে যা দেখেছেন তা কেবল ট্রেলার। জম্মু-কাশ্মীরের এক নতুন ও সুন্দর প্রতিচ্ছবি বানানোর কাজে আমাকে নামতে হবে।

কালের চিঠি / আশিকুর