সম্প্রতি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে সংযোজন করেছে ‘Altered Content’ যেটা নিশ্চিত করে ভিডিওতে যা দেখানো হচ্ছে বা বলা হচ্ছে তা বাস্তব কিনা। মূলত বর্তমানে ডিপফেক (Deepfake) এর মাধ্যমেও অনেকেই ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছে এবং যাতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকে। একটি ছবি ব্যবহার করে কিংবা অন্যের ভিডিওতে শুধু চেহারা বদলে মুহূর্তেই তৈরি করা হচ্ছে ভিডিও যা সম্পূর্ণ বাস্তবের মতো এবং বুঝার কোনো উপায় নেই যে এটা অবাস্তব । সম্প্রতি ভারতীয় অভিনেত্রী রাশ্মিকা মান্দানা’র একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যা ডিপফেক (Deepfake) প্রযুক্তি দিয়ে করা।
এবার আসা যাক ‘Altered Content’ কী ?
এই ‘Altered Content’ দিয়ে মূলত বোঝানো হচ্ছে ভিডিওটি AI বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সির কোন ব্যবহার আছে কিনা? যেমন- AI ক্যারেক্টার দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা, ভিডিও কিংবা ইমেজ তৈরি কিংবা ভয়েস দেয়া ইত্যাদি… । মূলত ইউটিউব দর্শকদের নিশ্চিত করতে চায়, তারা যে ভিডিওগুলো দিচ্ছে সেটি বাস্তব কীনা?
Altered Content’ ব্যবহার করে যা করা যাবে না:
একজন প্রকৃত ব্যক্তিকে এমন কিছু বলতে বা করতে দেখানো যা সে করেনি, একটি বাস্তব ঘটনা বা স্থানের ফুটেজ পরিবর্তন করে বাস্তবে ঘটেনি এমন একটি বাস্তবসম্মত দৃশ্য তৈরি করে এতে অডিও, ভিডিও বা চিত্র তৈরি বা সম্পাদনা সরঞ্জাম ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পরিবর্তিত বা তৈরি করা।
কখন ‘Yes’ অথবা ‘No’ দিবেন?
যদি আপনার তৈরি ভিডিওটি যদি AI এর সংমিশ্রণে হয়ে থাকে তাহলে ‘Yes’ দিতে হবে আর তা নাহলে অর্থাৎ মৌলিক হলে ‘No’ দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে অবশেই কনটেন্ট নির্মাতাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলতে হবে ।
অল্টারড কনটেন্ট ব্যবহার করলে ভিডিওতে একটি এডিশনাল লেভেল যুক্ত হবে যেখানে দর্শকদের নিশ্চিত করবে ভিডিওটিতে AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হয়েছে।
কালের চিঠি/ ফাহিম