মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেলিটক’কে বাঁচাতে বাংলালিংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগি ।

অবশেষে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পেল টেলিটক। প্রাথমিকভাবে টেলিটকে বেশি কথা বলেন কিংবা ডাটা ব্যবহার করেন এমন দুই হাজার গ্রাহকের ফোনে মিলবে বাংলালিংক নেটওয়ার্ক। বিনিয়োগের পথে না হেঁটে বিকল্প উপায়ে টেলিটককে বাঁচাতে বাংলালিংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগির এই উদ্যোগ নেয় সরকার।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সেবা চালুর ঘোষণা দেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সীমিত পরিসরে চালু হলো জাতীয় রোমিং সেবা। এই সেবা চালু হলেও এখনই টেলিটক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলালিংক গ্রাহকরা। তবে ২ হাজার টেলিটক গ্রাহক বাংলালিংকের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বিষয়টি।

সংশ্লিষ্ট এসব গ্রাহক কোনো এলাকায় টেলিটক ব্যবহারে সমস্যায় পড়লে, বিনা খরচে বাংলালিংক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ফোনের সেটিংসে গিয়ে রোমিং অপশনে ক্লিক করে বাংলালিংক অপশন সিলেক্ট করলেই সরাসরি নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য, প্রতিযোগিতায় ফেরাতে টেলিটকে বিনিয়োগ করতে হবে আরও অন্তত ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগের পথে না হেঁটে বিকল্প উপায়ে টেলিটককে বাঁচাতে বাংলালিংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগির উদ্যোগ নেয় সরকার। যার পরীক্ষা চলে গত ৫ মাস ধরে। যেখানে রোমিং সেবা নিয়েছেন খোদ প্রতিমন্ত্রী। পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার রোমিং চালু হলো পাইলট আকারে। কয়েক মাসের মধ্যে এই সুবিধা পাবেন বাংলালিংক গ্রাহকরাও।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে এই রোমিং সেবা চালু করা হয়েছে। এখনও আমাদের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা অনেক গ্রাহক বাড়ানোর চিন্তা আছে। ১ মাস পরে ন্যাশনাল রোমিং সুবিধা সম্পূর্ণরুপে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মাত্র এক ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে টাওয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়া, অপ্রতুল ও দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে কলড্রপ, ডাটা ব্যবহারে ধীরগতি’সহ নানামুখী সমস্যায় থমকে আছে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বিটিআরসির হিসাবে ২০২৩ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৬৭ লাখ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখে। অন্যদিকে, বর্তমানে ৪ কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে প্রায় ১৬ হাজার টাওয়ার দিয়ে সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক। বিপরীতে টেলিটকের টাওয়ার সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, টেলিটকের গ্রাহকরা বাংলালিংক নেটওয়ার্কে এলে ভয়েস, ডাটাসহ সব কিছুই ঠিকঠাকমতো কাজ করছে। তবে বাংলালিংক যখন টেলিটকের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে তখন বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। আগামী এক সপ্তাহ থেকে মাসের মধ্যে এইসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কালের চিঠি/ ফাহিম

জনপ্রিয়

টেলিটক’কে বাঁচাতে বাংলালিংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগি ।

প্রকাশের সময়: ০৮:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

অবশেষে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পেল টেলিটক। প্রাথমিকভাবে টেলিটকে বেশি কথা বলেন কিংবা ডাটা ব্যবহার করেন এমন দুই হাজার গ্রাহকের ফোনে মিলবে বাংলালিংক নেটওয়ার্ক। বিনিয়োগের পথে না হেঁটে বিকল্প উপায়ে টেলিটককে বাঁচাতে বাংলালিংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগির এই উদ্যোগ নেয় সরকার।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সেবা চালুর ঘোষণা দেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সীমিত পরিসরে চালু হলো জাতীয় রোমিং সেবা। এই সেবা চালু হলেও এখনই টেলিটক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলালিংক গ্রাহকরা। তবে ২ হাজার টেলিটক গ্রাহক বাংলালিংকের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বিষয়টি।

সংশ্লিষ্ট এসব গ্রাহক কোনো এলাকায় টেলিটক ব্যবহারে সমস্যায় পড়লে, বিনা খরচে বাংলালিংক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ফোনের সেটিংসে গিয়ে রোমিং অপশনে ক্লিক করে বাংলালিংক অপশন সিলেক্ট করলেই সরাসরি নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য, প্রতিযোগিতায় ফেরাতে টেলিটকে বিনিয়োগ করতে হবে আরও অন্তত ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগের পথে না হেঁটে বিকল্প উপায়ে টেলিটককে বাঁচাতে বাংলালিংকের সঙ্গে নেটওয়ার্ক ভাগাভাগির উদ্যোগ নেয় সরকার। যার পরীক্ষা চলে গত ৫ মাস ধরে। যেখানে রোমিং সেবা নিয়েছেন খোদ প্রতিমন্ত্রী। পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার রোমিং চালু হলো পাইলট আকারে। কয়েক মাসের মধ্যে এই সুবিধা পাবেন বাংলালিংক গ্রাহকরাও।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে এই রোমিং সেবা চালু করা হয়েছে। এখনও আমাদের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা অনেক গ্রাহক বাড়ানোর চিন্তা আছে। ১ মাস পরে ন্যাশনাল রোমিং সুবিধা সম্পূর্ণরুপে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মাত্র এক ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে টাওয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়া, অপ্রতুল ও দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে কলড্রপ, ডাটা ব্যবহারে ধীরগতি’সহ নানামুখী সমস্যায় থমকে আছে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বিটিআরসির হিসাবে ২০২৩ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৬৭ লাখ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখে। অন্যদিকে, বর্তমানে ৪ কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে প্রায় ১৬ হাজার টাওয়ার দিয়ে সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক। বিপরীতে টেলিটকের টাওয়ার সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, টেলিটকের গ্রাহকরা বাংলালিংক নেটওয়ার্কে এলে ভয়েস, ডাটাসহ সব কিছুই ঠিকঠাকমতো কাজ করছে। তবে বাংলালিংক যখন টেলিটকের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে তখন বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। আগামী এক সপ্তাহ থেকে মাসের মধ্যে এইসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কালের চিঠি/ ফাহিম