চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত তথা ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে এ অভিযোগ করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (২ মার্চ ) বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ চট্টগ্রামের পাচটি উপকেন্দ্রে ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বিজ্ঞান অনুষদে মোট আসন ১ হাজার ২১৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৯৯ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে আসন প্রতি লড়বেন ৮১ জন।
ভর্তি পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা বলেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
রংপুর থেকে আসা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক বলেন,”গতকালই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হয়েছে,আজকে আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা হচ্ছে।এতে করে আমাদেরকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে,ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নিয়ে যানবাহনের ভাড়া অনেক বাড়িয়ে নিচ্ছে চালকরা।আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাগুলো যেন করে নেওয়া হয়।”
ঢাকা থেকে আসা আরেক অভিভাবক আবু ছাঈদ বলেন,” একদিনের মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কারণে আমাদেরকে রাত ৩ টায় এখানে আসতে হয়েছে।এখানে আমাদেরকে যানবাহন পাইতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে যার ফলে আমার মেয়েকে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।এই ভোগান্তির শেষ কোথায়???”
২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ইচ্ছুক সৈকত হাসান রিদয় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,”গতকাল আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা শেষ করে ট্রেনে করে রাত্রে চট্টগ্রামে আসি।জার্নি করার কারণে আমার রাত্রে ঘুম হয়নি এই ক্লান্ত শরীরে পরীক্ষা দিতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান বলেন,”আমরা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টিকে বিবেচনা করে ইতোমধ্যে ঢাবি ও রাবিতে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছি।আমাদের পরিকল্পনা আছে পরবর্তীতে বাহিরের উপ-কেন্দ্রের সংখ্যা আরো বাড়াবো,তাহলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেক কমে যাবে।”
ফুয়াদ(চবি)