রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারা বিশ্বে মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া কাজ করে : হাইকোর্ট

 

 

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া চক্র কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তারা বলেন, এই চক্র ওষুধসহ মেডিকেল উপকরণ সরবরাহে রি-এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন।

হাইকোর্ট বলেন, পত্রিকায় নাম আসার জন্য নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণ যাতে হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে আদেশ দেয়া হবে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইউনাইটেডে শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

এসময় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান ১০২৭টি লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধ কি ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তখন রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যাজস্ট্রেসি পাওয়ার নেই কাজেই তারা চাইলেও এসব বন্ধ করতে পারে না।

রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আয়ান। গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খাতনার জন্য অজ্ঞান করা হয় তাকে। এরপর জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে নেয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের গুলশান শাখায়। সেখানে টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে অনুমতি ছাড়াই শিশু আয়ানের খাতনা করানো হয় বলে অভিযোগ তুলেন তার বাবা শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

 

ওই ঘটনায় হাইকোর্টের নজরে এলে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি এ নিয়ে শুনানিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আইওয়াশ (লোক দেখানো) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দিন এমন মন্তব্য করেন।

সেদিন আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (তদন্ত কমিটি) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকেরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন? ওই সময় সুন্নতে খাতনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ  লাগে না বলেও মন্তব্য করেন আদালত। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

কালের চিঠি / আলিফ

ধর্ষণের শিকার তরুণীর আত্মহত্যার দায় রাষ্ট্রের

সারা বিশ্বে মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া কাজ করে : হাইকোর্ট

প্রকাশের সময়: ০১:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

 

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেডিকেল সেক্টরে বড় মাফিয়া চক্র কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। তারা বলেন, এই চক্র ওষুধসহ মেডিকেল উপকরণ সরবরাহে রি-এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাতনার পর শিশু আয়ানের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা রিটের শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন।

হাইকোর্ট বলেন, পত্রিকায় নাম আসার জন্য নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণ যাতে হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে আদেশ দেয়া হবে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইউনাইটেডে শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

এসময় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান ১০২৭টি লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধ কি ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তখন রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যাজস্ট্রেসি পাওয়ার নেই কাজেই তারা চাইলেও এসব বন্ধ করতে পারে না।

রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আয়ান। গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খাতনার জন্য অজ্ঞান করা হয় তাকে। এরপর জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে নেয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের গুলশান শাখায়। সেখানে টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে অনুমতি ছাড়াই শিশু আয়ানের খাতনা করানো হয় বলে অভিযোগ তুলেন তার বাবা শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

 

ওই ঘটনায় হাইকোর্টের নজরে এলে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ জানুয়ারি এ নিয়ে শুনানিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আইওয়াশ (লোক দেখানো) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দিন এমন মন্তব্য করেন।

সেদিন আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (তদন্ত কমিটি) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকেরা অপারেশনের জন্য এত তাড়াহুড়া করলেন? ওই সময় সুন্নতে খাতনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এত ওষুধ  লাগে না বলেও মন্তব্য করেন আদালত। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

কালের চিঠি / আলিফ