নতুন শিক্ষাক্রমে কী আছে,জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

কালের চিঠি ডেস্ক
  • Print
  •  

    ‘শিক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়টি শিক্ষণ পদ্ধতিতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। মধ্যে শিক্ষণ পথ অর্জনের সন্নিবিশিত করা হয়েছে।

    নতুন শিক্ষাক্রম অংশগ্রহণ ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি জানান, শিক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়টি শিক্ষণ পদ্ধতিতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। মধ্যে শিক্ষণ পথ অর্জনের সন্নিবিশিত করা হয়েছে।

    বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা একটি নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের পথে আছি। আন্তর্জাতিকভাবে যে, অংশগ্রহণভিত্তিক ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষণ পদ্ধতির কথা বলা হয়ে থাকে সেটি এতে রয়েছে। শিক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষণ পদ্ধতি এগিয়ে যাবে। নতুন কারিকুলামে ক্রীড়াকে অন্যতম শিক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে রাখা হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী। অংশগ্রহণকারীর দিক থেকে এটি দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় প্রতিযোগিতা।”

    বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার “স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান” বিষয়টির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট দক্ষতা আমরা শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করব।”

    নওফেল বলেন, “সারা দেশ থেকে ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাত লাখ ছাত্র-ছাত্রী আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা করেন। চূড়ান্ত পর্বে সব ইভেন্টে সর্বমোট প্রতিযোগী রয়েছে ৮২৪ জন; এর মধ্যে ছাত্র ৪৪০ জন এবং ছাত্রী ৩৮৪ জন। ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে চারটি ফুলের নামে। এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল।”

    তিনি বলেন, “খেলাধুলার মাধ্যমে চরিত্র গঠন ও কর্ম সংশ্লিষ্ট যেসব দক্ষতার প্রয়োজন হয়, শিক্ষা ক্ষেত্রে তা অর্জিত হবে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের জন্ম হয়।”

    মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশব্যাপী ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এই নতুন সরকারের শুভ সূচনায় প্রথম রাজধানীর বাইরে রাজশাহীতে এমন আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের সন্তানদের কথা বিবেচনায় রেখে, নতুন প্রজন্মের কথা বিবেচনায় রেখে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমাদের গর্বিত করেছেন “

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর ব্যবস্থাপনায় ছয় দিনব্যাপী এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

    কালের চিঠি / আশিকুর।