সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধুদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব প্রবাসী যুবক এখন পাগল প্রায়

 

দীর্ঘদিন একসাথে দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশী। সেই সূত্রে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে একে অপরের মধ্যে। দীর্ঘ দশ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে যা আয় করেছেন, খেয়ে না খেয়ে এবং বাড়িতে না পাঠিয়ে দুবাইয়ের আল মাশরাফ ব্যাংকে সঞ্চিত সমস্ত অর্থ জমা করেন প্রবাসী বন্ধুদের একজন আমিনুল ইসলাম।

 

দুবাই প্রবাসী আমিনুলের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামে। বাবা দরিদ্র কৃষক নুর মোহাম্মদ। আশা ছিল, ‘কষ্টের অর্জন করা মূলধন দিয়ে দেশে ফিরে ভালো কিছু করবেন। যাতে পুরো পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি স্বচ্ছল জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু একটি অভিনব প্রতারণার ঘটনায় তাদের সেই লালিত স্বপ্ন লণ্ডভণ্ড হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

 

ভুক্তভোগীর অভিযোগ এবং পরিবারের বর্ণনা অনুযায়ী যেভাবে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে:

 

আমিনুল নয় বছর দুবাই প্রবাসী। সম্প্রতি দুবাইয়ের আল মাশরাফ ব্যংকে ১০ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিট এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। সে অনুযায়ী তার জমানো টাকা বিদেশ থেকে বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় ট্রান্সফার করার কথা চলতি বছরের জানুয়ারীতে। প্রবাসে থাকতেই তার কিছু বন্ধু তৈরি হয়। তারাও করোনার পর দেশে এসেছে। একই ব্যাংকে একসাথে ২২ বন্ধু টাকা জমা করেছেন ১০ বছরের জন্য।

 

ভোটের কারণে ২৪ জানুয়ারি সব বন্ধু মিলে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গিয়ে টাকা উত্তোলন করার কথা। কিন্তু হটাৎ ওই চার বন্ধু আমিনুলের গাইবান্ধার বাড়িতে বেড়াতে আসতে চায়। আমরা খুশি মনে আসতে বলি। পরেরদিন ২৪ জানুয়ারি একসাথে একই মাইক্রোতে ঢাকায় গিয়ে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় (প্রবাসী বন্ধুদের দেওয়া কথা অনুযায়ী) আমিনুল ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা গাইবান্ধার সোনালী ব্যাংক শাখায় ট্রান্সফার করা হবে।

 

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় প্রবাসী ওই চার বন্ধু গাইবান্ধায় এসে আমিনুলকে ফোন দেয়। আমিনুলকে তারা তার বাড়ির কাছাকাছি কোন স্থানে আসতে বলে। আমিনুল তাদের বাড়ির নিকটবর্তী সুন্দরগঞ্জের ধুবনী বাজারে আসতে বলে। সেখানে গিয়ে সে তাদের রিসিভ করে এবং তাদের সাথে দেখা হওয়ার বিষয়টি বাড়িতে ফোন করে নিশ্চিত করে। আমরা তাদের জন্য গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগী, পোলাও সব রান্না করে রেখেছি আর অপেক্ষা করছি। এর কিছুক্ষণ পর ধুবনী বাজারের একটি দোকান থেকে পান এবং সিগারেট কিনে আমিনুলকে তাদের গাড়িতে উঠতে বলে এবং এখান থেকে বাড়ি কতদূর হবে জানতে চায়। এরপর আমিনুল তাদের গাড়িতে ওঠে। তারা আমিনুলকে মাঝখানে বসিয়ে কিছুদুর আসার পর জোরপূর্বক তার হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়। তারা ব্যাংক একাউন্টের পাসওয়ার্ড বলতে বলে। বলতে অস্বীকৃতি জানালে ধ্বস্তাধস্তি শুর হয়। একপর্যায়ে তারা আমিনুলের ঘাড়ে একটি ইনজেকশন পুশ করলে আমিনুল অচেতন হয়ে পরে। এসময় তারা আমিনুলের।মোবাইলে ব্যাংকের সব ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করা ফাইলটিসহ একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে ফোন করলে আমিনুলের ফোন বন্ধ দেখায়।

 

সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর আমিনুলের উদ্বিগ্ন পরিবার যখন সুন্দরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যায়, তখন রাত প্রায় নয়টা। এরইমধ্যে খবর আসে, আমিনুলকে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী জহুরুলের মোড় নামক স্থানে আমিনুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে গ্রাম পুলিশকে দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

এ ঘটনায় গত রবিবার (২৮ জানুক) রাতে ভুক্তভোগী প্রবাসী আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় প্রবাসী চার বন্ধু ময়মনসিংহ জেলার আমির হোসেন, নড়াইল জেলার আরিফ মিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলার আসাদ মোল্লা, টাঙ্গাইল জেলার গোপাল চন্দ্রসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করেন।

 

ভুক্তভোগী প্রবাসী আমিনুলের বাবা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমিনুলকে উদ্ধার করার পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে সে পাগলের মতো আচরণ করছে। বারবার ব্যাংকের ফাইলসহ মোবাইলটি খোঁজে আর ঘর থেকে বের হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ইনজেকশনের বিষয়ে ডাক্তার বলেছে, ‘সুস্থ হতে কমপক্ষে সাতদিন লাগবে’।

 

তিনি আরও বলেন, ‘ওই প্রতারকরা আমার ছেলের ফিঙ্গার নিয়ে হাতের আঙ্গুল ঘষে দিয়ে গেছে। যাতে ওর ফিঙ্গার নষ্ট হয়ে যায়। এখন যদি ওই ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে কোনভাবে ব্যাংক থেকে ওরা সব টাকা তুলে নিয়ে যায়? কি হবে আমাদের? আপনারা একটু সহযোগিতা করেন বাবা।’ আমরা খুব দু:শ্চিন্তায় আছি। প্রশাসনের কাছে আবদার, ‘আমার ছেলের অপহরণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে মোবাইলটা যেন উদ্ধার করে দেয়’।

 

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি যেহেতু প্রথমদিন থেকেই জানি, তাই, ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

 

তবে, ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার অতি সহজসরল। এতদিনের তাদের বন্ধুত্ব, অথচ তাদের কোন দেশি মোবাইল নাম্বার নেয়নি তারা। ওই প্রবাসী বন্ধুদের বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত তারা জানেনা। শুধু নাম, ছবি এবং কিছু ইমু নাম্বার দিতে পেরেছে। তদন্ত চলছে, আশাকরি, অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে’।

 

জনপ্রিয়

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

বন্ধুদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব প্রবাসী যুবক এখন পাগল প্রায়

প্রকাশের সময়: ০৪:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

দীর্ঘদিন একসাথে দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশী। সেই সূত্রে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে একে অপরের মধ্যে। দীর্ঘ দশ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে যা আয় করেছেন, খেয়ে না খেয়ে এবং বাড়িতে না পাঠিয়ে দুবাইয়ের আল মাশরাফ ব্যাংকে সঞ্চিত সমস্ত অর্থ জমা করেন প্রবাসী বন্ধুদের একজন আমিনুল ইসলাম।

 

দুবাই প্রবাসী আমিনুলের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের শান্তিরাম গ্রামে। বাবা দরিদ্র কৃষক নুর মোহাম্মদ। আশা ছিল, ‘কষ্টের অর্জন করা মূলধন দিয়ে দেশে ফিরে ভালো কিছু করবেন। যাতে পুরো পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি স্বচ্ছল জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু একটি অভিনব প্রতারণার ঘটনায় তাদের সেই লালিত স্বপ্ন লণ্ডভণ্ড হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

 

ভুক্তভোগীর অভিযোগ এবং পরিবারের বর্ণনা অনুযায়ী যেভাবে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে:

 

আমিনুল নয় বছর দুবাই প্রবাসী। সম্প্রতি দুবাইয়ের আল মাশরাফ ব্যংকে ১০ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিট এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। সে অনুযায়ী তার জমানো টাকা বিদেশ থেকে বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় ট্রান্সফার করার কথা চলতি বছরের জানুয়ারীতে। প্রবাসে থাকতেই তার কিছু বন্ধু তৈরি হয়। তারাও করোনার পর দেশে এসেছে। একই ব্যাংকে একসাথে ২২ বন্ধু টাকা জমা করেছেন ১০ বছরের জন্য।

 

ভোটের কারণে ২৪ জানুয়ারি সব বন্ধু মিলে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গিয়ে টাকা উত্তোলন করার কথা। কিন্তু হটাৎ ওই চার বন্ধু আমিনুলের গাইবান্ধার বাড়িতে বেড়াতে আসতে চায়। আমরা খুশি মনে আসতে বলি। পরেরদিন ২৪ জানুয়ারি একসাথে একই মাইক্রোতে ঢাকায় গিয়ে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় (প্রবাসী বন্ধুদের দেওয়া কথা অনুযায়ী) আমিনুল ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা গাইবান্ধার সোনালী ব্যাংক শাখায় ট্রান্সফার করা হবে।

 

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় প্রবাসী ওই চার বন্ধু গাইবান্ধায় এসে আমিনুলকে ফোন দেয়। আমিনুলকে তারা তার বাড়ির কাছাকাছি কোন স্থানে আসতে বলে। আমিনুল তাদের বাড়ির নিকটবর্তী সুন্দরগঞ্জের ধুবনী বাজারে আসতে বলে। সেখানে গিয়ে সে তাদের রিসিভ করে এবং তাদের সাথে দেখা হওয়ার বিষয়টি বাড়িতে ফোন করে নিশ্চিত করে। আমরা তাদের জন্য গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগী, পোলাও সব রান্না করে রেখেছি আর অপেক্ষা করছি। এর কিছুক্ষণ পর ধুবনী বাজারের একটি দোকান থেকে পান এবং সিগারেট কিনে আমিনুলকে তাদের গাড়িতে উঠতে বলে এবং এখান থেকে বাড়ি কতদূর হবে জানতে চায়। এরপর আমিনুল তাদের গাড়িতে ওঠে। তারা আমিনুলকে মাঝখানে বসিয়ে কিছুদুর আসার পর জোরপূর্বক তার হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়। তারা ব্যাংক একাউন্টের পাসওয়ার্ড বলতে বলে। বলতে অস্বীকৃতি জানালে ধ্বস্তাধস্তি শুর হয়। একপর্যায়ে তারা আমিনুলের ঘাড়ে একটি ইনজেকশন পুশ করলে আমিনুল অচেতন হয়ে পরে। এসময় তারা আমিনুলের।মোবাইলে ব্যাংকের সব ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করা ফাইলটিসহ একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে ফোন করলে আমিনুলের ফোন বন্ধ দেখায়।

 

সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর আমিনুলের উদ্বিগ্ন পরিবার যখন সুন্দরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যায়, তখন রাত প্রায় নয়টা। এরইমধ্যে খবর আসে, আমিনুলকে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী জহুরুলের মোড় নামক স্থানে আমিনুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে গ্রাম পুলিশকে দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

এ ঘটনায় গত রবিবার (২৮ জানুক) রাতে ভুক্তভোগী প্রবাসী আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় প্রবাসী চার বন্ধু ময়মনসিংহ জেলার আমির হোসেন, নড়াইল জেলার আরিফ মিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলার আসাদ মোল্লা, টাঙ্গাইল জেলার গোপাল চন্দ্রসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করেন।

 

ভুক্তভোগী প্রবাসী আমিনুলের বাবা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমিনুলকে উদ্ধার করার পর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে সে পাগলের মতো আচরণ করছে। বারবার ব্যাংকের ফাইলসহ মোবাইলটি খোঁজে আর ঘর থেকে বের হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ইনজেকশনের বিষয়ে ডাক্তার বলেছে, ‘সুস্থ হতে কমপক্ষে সাতদিন লাগবে’।

 

তিনি আরও বলেন, ‘ওই প্রতারকরা আমার ছেলের ফিঙ্গার নিয়ে হাতের আঙ্গুল ঘষে দিয়ে গেছে। যাতে ওর ফিঙ্গার নষ্ট হয়ে যায়। এখন যদি ওই ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে কোনভাবে ব্যাংক থেকে ওরা সব টাকা তুলে নিয়ে যায়? কি হবে আমাদের? আপনারা একটু সহযোগিতা করেন বাবা।’ আমরা খুব দু:শ্চিন্তায় আছি। প্রশাসনের কাছে আবদার, ‘আমার ছেলের অপহরণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে মোবাইলটা যেন উদ্ধার করে দেয়’।

 

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি যেহেতু প্রথমদিন থেকেই জানি, তাই, ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

 

তবে, ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার অতি সহজসরল। এতদিনের তাদের বন্ধুত্ব, অথচ তাদের কোন দেশি মোবাইল নাম্বার নেয়নি তারা। ওই প্রবাসী বন্ধুদের বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত তারা জানেনা। শুধু নাম, ছবি এবং কিছু ইমু নাম্বার দিতে পেরেছে। তদন্ত চলছে, আশাকরি, অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে’।