রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোন ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখব না: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ কমাতে আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার আশপাশের ১ হাজার অবৈধ ইটভাটার ৫০০টি গুঁড়িয়ে দেয়া। আমাদের বার্তা হচ্ছে, কোনো ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখতে চাচ্ছি না।

 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ফরাসি দূতাবাস ঢাকার ফার্স্ট কাউন্সেলর এবং ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন দেউর, বাংলাদেশে এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টরের ডেপুটি সিসিলিয়া কর্টেস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমরা বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করছি। উৎস না জানলে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। বায়ুর মান যখন খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন একটা এলার্ট ইস্যু করতে চাই। জনসাধারণকে বলতে চাই আজ আমাদের বায়ুর মান স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ঝুঁকি। জরুরি কাজ না থাকলে যেন ঘরের বাইরে না যায়। এ ছাড়া ডব্লিউএইচও বলছে মাস্ক পরতে হবে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা আমাদের দায়িত্ব।’

 

তিনি বলেন, ‘বাযুদূষণ রোধে এরই মধ্যে আমরা ঢাকার আশপাশের অবৈধ ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এতে পুরো সমস্যার সমাধান হবে না। ঢাকা শহরে সিমেন্ট-বালি পরিবহন, নির্মাণকাজ ঢেকে রাখার নিয়ম আছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজটা করতে চাই। আগামীকাল আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।’

 

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে দুর্নীতি হয়। অবৈধকে বৈধ করতে নানা ধরনের লেনদেন হয়। আমরা চাচ্ছি এটা নির্মূল করতে। আমরা চাই না এ ধরনের ইটভাটা থাকুক। ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লক ইট নিয়েও ভাবতে হবে, উৎসাহিত করতে হবে। আমাদের বার্তা হচ্ছে: কোনো ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখতে চাচ্ছি না।’

 

ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে তার একটা অন্যতম দিক হচ্ছে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন বলে গিয়েছিলেন একটা জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে করতে আগ্রহী। আজ আমরা সেই চুক্তিতে কোন বিষয়গুলো থাকবে, অগ্রাধিকার দেয়া হবে কোন বিষয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

ধর্ষণের শিকার জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ কন্যার আত্মহত্যা

কোন ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখব না: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশের সময়: ০৩:২১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ কমাতে আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার আশপাশের ১ হাজার অবৈধ ইটভাটার ৫০০টি গুঁড়িয়ে দেয়া। আমাদের বার্তা হচ্ছে, কোনো ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখতে চাচ্ছি না।

 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ফরাসি দূতাবাস ঢাকার ফার্স্ট কাউন্সেলর এবং ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন দেউর, বাংলাদেশে এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টরের ডেপুটি সিসিলিয়া কর্টেস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমরা বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করছি। উৎস না জানলে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। বায়ুর মান যখন খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন একটা এলার্ট ইস্যু করতে চাই। জনসাধারণকে বলতে চাই আজ আমাদের বায়ুর মান স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ঝুঁকি। জরুরি কাজ না থাকলে যেন ঘরের বাইরে না যায়। এ ছাড়া ডব্লিউএইচও বলছে মাস্ক পরতে হবে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা আমাদের দায়িত্ব।’

 

তিনি বলেন, ‘বাযুদূষণ রোধে এরই মধ্যে আমরা ঢাকার আশপাশের অবৈধ ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এতে পুরো সমস্যার সমাধান হবে না। ঢাকা শহরে সিমেন্ট-বালি পরিবহন, নির্মাণকাজ ঢেকে রাখার নিয়ম আছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজটা করতে চাই। আগামীকাল আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে।’

 

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে দুর্নীতি হয়। অবৈধকে বৈধ করতে নানা ধরনের লেনদেন হয়। আমরা চাচ্ছি এটা নির্মূল করতে। আমরা চাই না এ ধরনের ইটভাটা থাকুক। ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লক ইট নিয়েও ভাবতে হবে, উৎসাহিত করতে হবে। আমাদের বার্তা হচ্ছে: কোনো ধরনের অবৈধ ইটভাটা রাখতে চাচ্ছি না।’

 

ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে তার একটা অন্যতম দিক হচ্ছে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন বলে গিয়েছিলেন একটা জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে করতে আগ্রহী। আজ আমরা সেই চুক্তিতে কোন বিষয়গুলো থাকবে, অগ্রাধিকার দেয়া হবে কোন বিষয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’