বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় জামানত হারিয়েছেন ২৪ প্রার্থী

 

গাইবান্ধায় জামানত হারালেদন ২৪ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচ আসনে ৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২৪ প্রার্থী তাদের জামানত হারান।

 

সোমবার (৮ জানুয়ারি) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

 

ভোট কাস্টিংয়ের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে ওই প্রার্থী জামানত হারান। সে হিসাবে গাইবান্ধায় এ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কমপক্ষে ২৪ প্রার্থী তাদের জামানত হারান।

 

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীকে গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার হাতঘড়ি প্রতীকে ১৯২ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম ছড়ি প্রতীকে ১২০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মর্জিনা খান আম প্রতীকে ২৭০ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু বক্কর সিদ্দিক গামছা প্রতীকে ৭৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ফকরুল হাসান ডাব প্রতীকে ৮২৪ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের ওমর ফারুক সিজার টেলিভিশন প্রতীকে ৬৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে জয়নাল আবেদীন পান ৩২৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

 

এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঢেঁকি প্রতীক) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার ৬৬ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

 

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খাঁন আম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুমা আকতার ঈগল প্রতীকে ১৬৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের গোলাম মারুফ মনা মশাল প্রতীকে ৫১০ ভোট পেয়ে জামানত হারান।

 

এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র শাহ সরোয়ার কবীর ট্রাক প্রতীকে ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

 

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ। তিনি পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীকে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি পান সাত হাজার ১৬৭ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মইনুর রাব্বী চৌধুরী পেয়েছেন সাত হাজার ৪৬৫ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ১৫০ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকে মনজুরুল হক পেয়েছেন ২২৫ ভোট। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকে মাহামুদুল হক পেয়েছেন দুই হাজার ১৮৩ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে মোস্তফা মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ১৮৭ ভোট ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব- ট্রাক প্রতীকে চার হাজার ১৯২ ভোট পান। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

 

এ আসনে নৌকা প্রতীকে উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।

 

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনটিতে জাতীয় পার্টির কাজী মো. মশিউর রহমান চার হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান।

 

এ আসনে নৌকা প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ দুই লাখ এক হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট।

 

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭১১ ভোট। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীকে ১০৪ ভোট পান। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারুক মিয়া আম প্রতীকে ১৪৬ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র শামসুল আজাদ শীতল ঈগল প্রতীকে ১১০ ভোট পেয়েছেন। ভোট কাস্টিংয়ের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেয়ে তারা সবাই জামানত হারান।

 

এ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন মাহামুদ হাসান। তিনি এক লাখ সাত হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট।

জনপ্রিয়

সাঘাটায় ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশন ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় জামানত হারিয়েছেন ২৪ প্রার্থী

প্রকাশের সময়: ০৪:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

 

গাইবান্ধায় জামানত হারালেদন ২৪ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচ আসনে ৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২৪ প্রার্থী তাদের জামানত হারান।

 

সোমবার (৮ জানুয়ারি) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

 

ভোট কাস্টিংয়ের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে ওই প্রার্থী জামানত হারান। সে হিসাবে গাইবান্ধায় এ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কমপক্ষে ২৪ প্রার্থী তাদের জামানত হারান।

 

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীকে গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার হাতঘড়ি প্রতীকে ১৯২ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম ছড়ি প্রতীকে ১২০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মর্জিনা খান আম প্রতীকে ২৭০ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু বক্কর সিদ্দিক গামছা প্রতীকে ৭৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ফকরুল হাসান ডাব প্রতীকে ৮২৪ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের ওমর ফারুক সিজার টেলিভিশন প্রতীকে ৬৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে জয়নাল আবেদীন পান ৩২৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

 

এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঢেঁকি প্রতীক) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার ৬৬ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

 

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খাঁন আম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুমা আকতার ঈগল প্রতীকে ১৬৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের গোলাম মারুফ মনা মশাল প্রতীকে ৫১০ ভোট পেয়ে জামানত হারান।

 

এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র শাহ সরোয়ার কবীর ট্রাক প্রতীকে ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

 

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ। তিনি পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীকে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি পান সাত হাজার ১৬৭ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মইনুর রাব্বী চৌধুরী পেয়েছেন সাত হাজার ৪৬৫ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ১৫০ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকে মনজুরুল হক পেয়েছেন ২২৫ ভোট। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকে মাহামুদুল হক পেয়েছেন দুই হাজার ১৮৩ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে মোস্তফা মনিরুজ্জামান পেয়েছেন ১৮৭ ভোট ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব- ট্রাক প্রতীকে চার হাজার ১৯২ ভোট পান। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

 

এ আসনে নৌকা প্রতীকে উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।

 

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনটিতে জাতীয় পার্টির কাজী মো. মশিউর রহমান চার হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান।

 

এ আসনে নৌকা প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ দুই লাখ এক হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট।

 

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭১১ ভোট। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীকে ১০৪ ভোট পান। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফারুক মিয়া আম প্রতীকে ১৪৬ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র শামসুল আজাদ শীতল ঈগল প্রতীকে ১১০ ভোট পেয়েছেন। ভোট কাস্টিংয়ের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেয়ে তারা সবাই জামানত হারান।

 

এ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন মাহামুদ হাসান। তিনি এক লাখ সাত হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট।