বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্যার’ না বলায় রেগে গিয়ে সাংবাদিকের ফোন কেটে দিলেন এসিল্যান্ড!

 

গাইবান্ধা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুকে স্যার বলে সম্বোধন না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক সাংবাদিকের ফোন কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সময় সংবাদের গাইবান্ধা প্রতিনিধি বিপ্লব ইসলাম কল দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।

বিপ্লব ইসলাম নিজ জমির খারিজ সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য জানতে এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করেন। তখন এসিল্যান্ড ‘ভাই’ সম্বোধনে অসন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘এসিল্যান্ডকে ভাই বলার কোনো নিয়ম নেই’ এই কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর কল ধরেননি।

 

পরে বিপ্লব ইসলাম আবার ফোন করলে এসিল্যান্ড বলেন, ‘কীভাবে সম্বোধন করতে হবে তা জেনে তারপর ফোন দেন।’ এ ঘটনার ভিডিও ও অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।

 

স্থানীয়রা জানান, এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আগেও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে। গাইবান্ধা সদরের খোলাহাটি ইউনিয়নের রথের বাজার থেকে এসেছেন আলমউদ্দিন প্রধান। তিনি বলেন, ‘এসিল্যান্ডের অনুমতি ছাড়া তার রুমে ঢোকা যায় না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না তিনি। তার মন মতো না হলে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে রাখা হয়।’

 

 

 

বাদশা মিয়া নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘প্রথম দিন খারিজ শুনানিতে স্যার না বলায় তিনি আমাকে রুম থেকে বের করে দেন। পরে ভুল স্বীকার করলে কয়েক দিন পর নতুন তারিখে কাজ করেন।’

 

গাইবান্ধা জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আইনে কোথাও “স্যার” বলার বাধ্যবাধকতা নেই। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও চাকরির আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।’

 

এসিল্যান্ডের আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

স্যার’ না বলায় রেগে গিয়ে সাংবাদিকের ফোন কেটে দিলেন এসিল্যান্ড!

প্রকাশের সময়: ০৪:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

 

গাইবান্ধা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুকে স্যার বলে সম্বোধন না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক সাংবাদিকের ফোন কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সময় সংবাদের গাইবান্ধা প্রতিনিধি বিপ্লব ইসলাম কল দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।

বিপ্লব ইসলাম নিজ জমির খারিজ সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য জানতে এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করেন। তখন এসিল্যান্ড ‘ভাই’ সম্বোধনে অসন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘এসিল্যান্ডকে ভাই বলার কোনো নিয়ম নেই’ এই কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর কল ধরেননি।

 

পরে বিপ্লব ইসলাম আবার ফোন করলে এসিল্যান্ড বলেন, ‘কীভাবে সম্বোধন করতে হবে তা জেনে তারপর ফোন দেন।’ এ ঘটনার ভিডিও ও অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।

 

স্থানীয়রা জানান, এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আগেও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে। গাইবান্ধা সদরের খোলাহাটি ইউনিয়নের রথের বাজার থেকে এসেছেন আলমউদ্দিন প্রধান। তিনি বলেন, ‘এসিল্যান্ডের অনুমতি ছাড়া তার রুমে ঢোকা যায় না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন না তিনি। তার মন মতো না হলে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে রাখা হয়।’

 

 

 

বাদশা মিয়া নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘প্রথম দিন খারিজ শুনানিতে স্যার না বলায় তিনি আমাকে রুম থেকে বের করে দেন। পরে ভুল স্বীকার করলে কয়েক দিন পর নতুন তারিখে কাজ করেন।’

 

গাইবান্ধা জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আইনে কোথাও “স্যার” বলার বাধ্যবাধকতা নেই। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও চাকরির আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।’

 

এসিল্যান্ডের আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’