বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক নিহত 

গাইবান্ধা পৌর শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আনিস মিয়া ঠান্ডা (৩৭) নামে এক অটোবাইক চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

 

নিহত আনিস মিয়া ঠান্ডা গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে এবং দীর্ঘ দুই দশক ধরে গাইবান্ধা শহরে পত্রিকা বিক্রয়ের পাশাপাশি অটোবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে আনিস শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত যাত্রীকে নিয়ে স্টেডিয়ামমুখী হন। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দুর্বৃত্তরা তাকে অটোবাইকের চাবি দিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তখনই তারা ছুরি বের করে তার পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং অটোবাইক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

 

ভোররাতে এক পথচারী তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দিলে স্বজনরা দ্রুত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

 

গাইবান্ধা পত্রিকা বিতানের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রহমান জানান, আনিস অত্যন্ত পরিশ্রমী ও ভদ্রলোক ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডে শহরের সংবাদপত্র পরিবেশনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

 

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল হক তালুকদার বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক নিহত 

প্রকাশের সময়: ১২:১২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধা পৌর শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আনিস মিয়া ঠান্ডা (৩৭) নামে এক অটোবাইক চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

 

নিহত আনিস মিয়া ঠান্ডা গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে এবং দীর্ঘ দুই দশক ধরে গাইবান্ধা শহরে পত্রিকা বিক্রয়ের পাশাপাশি অটোবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে আনিস শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত যাত্রীকে নিয়ে স্টেডিয়ামমুখী হন। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দুর্বৃত্তরা তাকে অটোবাইকের চাবি দিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তখনই তারা ছুরি বের করে তার পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং অটোবাইক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

 

ভোররাতে এক পথচারী তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দিলে স্বজনরা দ্রুত গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

 

গাইবান্ধা পত্রিকা বিতানের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রহমান জানান, আনিস অত্যন্ত পরিশ্রমী ও ভদ্রলোক ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডে শহরের সংবাদপত্র পরিবেশনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

 

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল হক তালুকদার বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।