বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, আটক ৫

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি বাজারের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধার হওয়া মারুফ হোসেন তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। আটককৃতরা হলেন তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি গ্রামের মৃত তফেরের ছেলে মো. আবুল হাশেম হাসু (৪৮), মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আল আমিন হোসেন (২২), রফিক হোসেনের ছেলে মো. ওমর ফারুক ও সাইদুর রহমানের ছেলে কাওছার হোসেন। আটককৃতদের তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব ১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন জানান, গত ৫ এপ্রিল তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি বাজার থেকে মাদরাসা ছাত্র মারুফ হোসেন নিখোঁজ হয়। পরদিন তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও র‍্যাব-১২ এর হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।

তিনি আরও জানান, মাদরাসা ছাত্রকে অপহরণ করার পর থেকে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যা করার পরও মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি বিশেষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিকসহ আহত দুই

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, আটক ৫

প্রকাশের সময়: ১২:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি বাজারের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধার হওয়া মারুফ হোসেন তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। আটককৃতরা হলেন তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি গ্রামের মৃত তফেরের ছেলে মো. আবুল হাশেম হাসু (৪৮), মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আল আমিন হোসেন (২২), রফিক হোসেনের ছেলে মো. ওমর ফারুক ও সাইদুর রহমানের ছেলে কাওছার হোসেন। আটককৃতদের তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব ১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন জানান, গত ৫ এপ্রিল তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি বাজার থেকে মাদরাসা ছাত্র মারুফ হোসেন নিখোঁজ হয়। পরদিন তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও র‍্যাব-১২ এর হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।

তিনি আরও জানান, মাদরাসা ছাত্রকে অপহরণ করার পর থেকে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যা করার পরও মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি বিশেষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কালের চিঠি / আলিফ