মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করল নড়াইল

ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন নড়াইলবাসী। ২১ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রজ্জ্বলন করা হয় লাখো প্রদীপ। এ সময় বেজে ওঠে ভাষা আন্দোলনের গানসহ দেশাত্নকবোধক গান। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেল থেকেই জড়ো হন হাজারো মানুষ। এ উপলক্ষে মেলাও বসে।

‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’-এ স্লোগানে ভাষা শহীদদের স্মরণে ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করা হয়। একটি, দু’টি নয়; লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। মুহূর্তেই অন্ধকার ছাপিয়ে প্রায় ছয় একর সুবিশাল মাঠ মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। শহীদ মিনার, বর্ণমালা, অল্পনা ছাড়াও বাংলাদেশের নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় মোমবাতির আলোয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর নড়াইল জেলা কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, একুশে আলোর উদ্যোক্তা নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটুসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

একুশের আলোর কর্মকর্তারা জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে।

কালের চিঠি/শর্মিলী

জনপ্রিয়

লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করল নড়াইল

প্রকাশের সময়: ০২:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন নড়াইলবাসী। ২১ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রজ্জ্বলন করা হয় লাখো প্রদীপ। এ সময় বেজে ওঠে ভাষা আন্দোলনের গানসহ দেশাত্নকবোধক গান। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেল থেকেই জড়ো হন হাজারো মানুষ। এ উপলক্ষে মেলাও বসে।

‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’-এ স্লোগানে ভাষা শহীদদের স্মরণে ভিন্নধর্মী এ আয়োজন করা হয়। একটি, দু’টি নয়; লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। মুহূর্তেই অন্ধকার ছাপিয়ে প্রায় ছয় একর সুবিশাল মাঠ মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। শহীদ মিনার, বর্ণমালা, অল্পনা ছাড়াও বাংলাদেশের নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় মোমবাতির আলোয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর নড়াইল জেলা কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, একুশে আলোর উদ্যোক্তা নাট্যব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটুসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

একুশের আলোর কর্মকর্তারা জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে।

কালের চিঠি/শর্মিলী