বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেলে বান্দরবানে ২ জন নিহত

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টারশেল এসে পড়ে।

নিহত ওই বাংলাদেশির নাম হোসনে আরা। তিনি জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী। অপরদিকে, নিহত রোহিঙ্গার পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমারে সকাল থেকে দুই বাহিনীর গোলাগুলি চলছিল। আড়াইটার দিকে মিয়ানমার সরকারের একটি হেলিকপ্টার থেকে বিদ্রোহীদের ক্যাম্পে মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়। ওই মর্টারশেলের একটি অংশ এসে পড়ে বাদশা মিয়ার বাড়িতে। এতে নিহত হন তার স্ত্রী হোসনে আরা ও অপর ব্যক্তি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, নিহত ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তি বাদশা মিয়ার বাড়ি কাজ করতেন। তাকে দুপুরের খাবার দেয়ার জন্য রান্নাঘরে গিয়েছিলেন হোসনে আরা। তখনই মর্টারশেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান হোসনে আরা।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেলে বান্দরবানে ২ জন নিহত

প্রকাশের সময়: ১১:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টারশেল এসে পড়ে।

নিহত ওই বাংলাদেশির নাম হোসনে আরা। তিনি জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী। অপরদিকে, নিহত রোহিঙ্গার পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমারে সকাল থেকে দুই বাহিনীর গোলাগুলি চলছিল। আড়াইটার দিকে মিয়ানমার সরকারের একটি হেলিকপ্টার থেকে বিদ্রোহীদের ক্যাম্পে মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়। ওই মর্টারশেলের একটি অংশ এসে পড়ে বাদশা মিয়ার বাড়িতে। এতে নিহত হন তার স্ত্রী হোসনে আরা ও অপর ব্যক্তি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, নিহত ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তি বাদশা মিয়ার বাড়ি কাজ করতেন। তাকে দুপুরের খাবার দেয়ার জন্য রান্নাঘরে গিয়েছিলেন হোসনে আরা। তখনই মর্টারশেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান হোসনে আরা।

কালের চিঠি / আলিফ