রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবিতে আবারও দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ

একটি যৌন হয়রানির অভিযোগের সমাধান হওয়ার আগেই আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরও দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় সভাপতি বরাবর এই লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

যৌনহয়রানির শিকার শিক্ষার্থী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০১৭-২০১৮) সেশনে একজন ছাত্রী। মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষার সময় অসদুপায় অবলম্বন করার কারণে একজন স্যার কর্তৃক আমাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই কারণ প্রদর্শনপূর্বক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি স্যার আমাকে তার রুমে একা ডেকে পাঠান। রুমে প্রবেশের পর স্যার রুমে বসার নির্দেশ দেন। বসার পর হঠাৎ করে পেছন দিকে স্যার আমার কাছে চলে আসেন এবং আমি উনার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে চমকে উঠি।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি চেয়ার থেকে ভয়ে উঠে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি রুমের দরজা লক করা। তারপর তিনি আমাকে অনুরোধ করেন এভাবে কান্নাকাটিরত অবস্থায় বাইরে না যেতে। তারপর তিনি আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখেন কান্না থামানোর জন্য। পরে আমি কোনোনরকম স্বাভাবিক হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় সভাপতি কালের চিঠিকে বলেন, হ্যাঁ, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চবিতে আবারও দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ

প্রকাশের সময়: ১২:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একটি যৌন হয়রানির অভিযোগের সমাধান হওয়ার আগেই আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরও দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় সভাপতি বরাবর এই লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

যৌনহয়রানির শিকার শিক্ষার্থী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০১৭-২০১৮) সেশনে একজন ছাত্রী। মাস্টার্সের লিখিত পরীক্ষার সময় অসদুপায় অবলম্বন করার কারণে একজন স্যার কর্তৃক আমাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই কারণ প্রদর্শনপূর্বক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি স্যার আমাকে তার রুমে একা ডেকে পাঠান। রুমে প্রবেশের পর স্যার রুমে বসার নির্দেশ দেন। বসার পর হঠাৎ করে পেছন দিকে স্যার আমার কাছে চলে আসেন এবং আমি উনার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে চমকে উঠি।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি চেয়ার থেকে ভয়ে উঠে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি রুমের দরজা লক করা। তারপর তিনি আমাকে অনুরোধ করেন এভাবে কান্নাকাটিরত অবস্থায় বাইরে না যেতে। তারপর তিনি আমাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখেন কান্না থামানোর জন্য। পরে আমি কোনোনরকম স্বাভাবিক হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় সভাপতি কালের চিঠিকে বলেন, হ্যাঁ, এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।