বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়ারফোনে গান শুনতে শুনতে ঘুমান? যেভাবে নিজের বড় ক্ষতি করে বসছেন

মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। এ অভ্যাস ভালো হলেও বিপত্তি ঘটে কানে হেডফোন বা ইয়ার ফোন লাগিয়ে মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমোনোর অভ্যাসের কারণে হারিয়ে যেতে পারে শ্রবণশক্তি।

প্রতিবেনে উল্লেখ করা হয়, চীনের শাংডং প্রদেশের তরুণী ওয়াং ইয়ারফোনে গান শুনে ঘুমানোর অভ্যাস ছিল। তিনি বহুজাতিক সংস্থায় ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কর্মরত। একদিন হঠাত তিনি বুঝতে পরেন অফিসে সহকর্মীরা সকলেই মুখ নাড়াচ্ছেন, কিন্তু কারও কথাই তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন না। প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালীন ঊর্ধ্বতনদের কোনো কথা একেবারে শুনতে না পাওয়ায় ওয়াং তৎক্ষণাৎ ছোটেন স্থানীয় হাসপাতালে।

কানের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, নিয়মিত কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার অভ্যাসে ওয়াংয়ের বাঁ কানের শ্রবণশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওয়াংয়ের চিকিৎসক লি টাও জানিয়েছেন, কানের স্নায়ুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে এই ধরনের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খুব জোরে গান শুনলেই যে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এমনটা নয়। একটানা অনেকক্ষণ ধরে গান শুনলেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কানের স্বাস্থ্যের জন্য লি সকলকে ‘৬০-৬০’ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ গান বা যন্ত্রসঙ্গীত যা-ই শুনুন, তা একটানা ৬০ মিনিটের বেশি শোনা যাবে না এবং শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকতে হবে।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কে ‘টানাপোড়েন আছে’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইয়ারফোনে গান শুনতে শুনতে ঘুমান? যেভাবে নিজের বড় ক্ষতি করে বসছেন

প্রকাশের সময়: ০৪:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই আছে। এ অভ্যাস ভালো হলেও বিপত্তি ঘটে কানে হেডফোন বা ইয়ার ফোন লাগিয়ে মিউজিক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমোনোর অভ্যাসের কারণে হারিয়ে যেতে পারে শ্রবণশক্তি।

প্রতিবেনে উল্লেখ করা হয়, চীনের শাংডং প্রদেশের তরুণী ওয়াং ইয়ারফোনে গান শুনে ঘুমানোর অভ্যাস ছিল। তিনি বহুজাতিক সংস্থায় ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কর্মরত। একদিন হঠাত তিনি বুঝতে পরেন অফিসে সহকর্মীরা সকলেই মুখ নাড়াচ্ছেন, কিন্তু কারও কথাই তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন না। প্রথমে বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলাকালীন ঊর্ধ্বতনদের কোনো কথা একেবারে শুনতে না পাওয়ায় ওয়াং তৎক্ষণাৎ ছোটেন স্থানীয় হাসপাতালে।

কানের চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, নিয়মিত কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার অভ্যাসে ওয়াংয়ের বাঁ কানের শ্রবণশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওয়াংয়ের চিকিৎসক লি টাও জানিয়েছেন, কানের স্নায়ুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে এই ধরনের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খুব জোরে গান শুনলেই যে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এমনটা নয়। একটানা অনেকক্ষণ ধরে গান শুনলেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কানের স্বাস্থ্যের জন্য লি সকলকে ‘৬০-৬০’ নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ গান বা যন্ত্রসঙ্গীত যা-ই শুনুন, তা একটানা ৬০ মিনিটের বেশি শোনা যাবে না এবং শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকতে হবে।

কালের চিঠি / আলিফ