মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘উড্ডয়ন ত্রুটিতেই’ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: তদন্ত কমিটি

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা পাইলটের উড্ডয়নের ভুলের কারণেই ঘটেছে বলে তদন্তে জানা গেছে।

বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, “পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।”

 

২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান (এফ-৭ বিজিআই মডেল) বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামসহ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী। আহত হন আরও অনেকে।

দুর্ঘটনার পর ২৯ জুলাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রায় ১৫০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়- যার মধ্যে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারও ছিলেন। তারা মোট ১৬৮টি তথ্য বিশ্লেষণ করে ৩৩টি সুপারিশ দিয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, জননিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

‘উড্ডয়ন ত্রুটিতেই’ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময়: ০২:০২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা পাইলটের উড্ডয়নের ভুলের কারণেই ঘটেছে বলে তদন্তে জানা গেছে।

বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, “পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনিংয়ের সময় পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।”

 

২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান (এফ-৭ বিজিআই মডেল) বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামসহ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী। আহত হন আরও অনেকে।

দুর্ঘটনার পর ২৯ জুলাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রায় ১৫০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়- যার মধ্যে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারও ছিলেন। তারা মোট ১৬৮টি তথ্য বিশ্লেষণ করে ৩৩টি সুপারিশ দিয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, জননিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে।