মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুরে বজ্রপাতে ১১ মহিষের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে ২ কৃষকের ১১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার উদয়নগর পদ্মা নদীর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত মহিষের মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও স্থানীয়রা জানান, বাংলাবাজার এলাকার উদয়নগর মাঠের মধ্যে বাথানের মহিষ পালন করা হচ্ছিল। ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে স্থানীয় নবীর উদ্দীন ঘোষের ১০টি ও এলাহী ঢালীর ১টি মহিষ মারা যায়। এ সময় আরো কয়েকটি মহিষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো মানুষ হতাহত হয়নি।

মহিষ মালিক নবীর উদ্দিন ঘোষ বলেন, ‘বজ্রপাতে তার ১০টি মহিষ ও এলাহি ঢালীর একটি মহিষ মারা গেছে। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ আছে, যেগুলোর মালিক ২২ জন। এতগুলো মহিষ পুতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় আমরা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সরকার যদি একটু সহায়তার ব্যবস্থা করত, আমরা উপকৃত হতাম।’

 

চিলমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ‘নবীর উদ্দিন এবং এলাহি দুজনই আমাদের দলের লোক। বজ্রপাতে নিহত মহিষের দাম প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা। বজ্রপাতে নিহত মহিষের মালিকগণ বড় আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়লো।’

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। ‘

নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘মহিষ নিহতের ঘটনাটি শুনেছি। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা বরাদ্দ এলে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

দৌলতপুরে বজ্রপাতে ১১ মহিষের মৃত্যু

প্রকাশের সময়: ০৪:০৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে ২ কৃষকের ১১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার উদয়নগর পদ্মা নদীর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত মহিষের মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও স্থানীয়রা জানান, বাংলাবাজার এলাকার উদয়নগর মাঠের মধ্যে বাথানের মহিষ পালন করা হচ্ছিল। ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে স্থানীয় নবীর উদ্দীন ঘোষের ১০টি ও এলাহী ঢালীর ১টি মহিষ মারা যায়। এ সময় আরো কয়েকটি মহিষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো মানুষ হতাহত হয়নি।

মহিষ মালিক নবীর উদ্দিন ঘোষ বলেন, ‘বজ্রপাতে তার ১০টি মহিষ ও এলাহি ঢালীর একটি মহিষ মারা গেছে। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ আছে, যেগুলোর মালিক ২২ জন। এতগুলো মহিষ পুতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় আমরা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সরকার যদি একটু সহায়তার ব্যবস্থা করত, আমরা উপকৃত হতাম।’

 

চিলমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ‘নবীর উদ্দিন এবং এলাহি দুজনই আমাদের দলের লোক। বজ্রপাতে নিহত মহিষের দাম প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা। বজ্রপাতে নিহত মহিষের মালিকগণ বড় আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়লো।’

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। ‘

নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘মহিষ নিহতের ঘটনাটি শুনেছি। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা বরাদ্দ এলে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।’