রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিবস উপলক্ষে ‘‌ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর দিনব্যাপী অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি নিরাপত্তা খাতকে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিবস উপলক্ষে দেশের অন্যতম বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী সংস্থা ‘ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর উদ্যোগে রাজধানীর বারিধারায় দিনব্যাপী নানা ধরনের কর্মূসচী পালিত হয়েছে। নিরাপত্তা পেশার প্রতি সম্মান, সচেতনতা এবং পেশাজীবীদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের দিবস উপলক্ষ্যে প্রথম পর্বে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান এবং নানা ধরনের উপহার সমগ্রী প্রদান করেন।

দ্বিতীয় পর্বে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় ‘ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড’ এর নির্বাহী পরিচালক এবং সিএফও অসীম মন্ডল বলেন, “শুধু বাহ্যিক নজরদারি নয়, আধুনিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হতে হবে প্রযুক্তিনির্ভর, আচরণগত বিশ্লেষক ও সংকট মোকাবেলায় দক্ষ। ইউরো ভিজিল এই মানদণ্ডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে ইতোমধ্যেই নিজেদের এগিয়ে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, মুলত নব্বই দশক থেকে বেসরকারি নিরাপত্তা খাত দেশে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০০১ সালের ৯/১১ এর ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা খাতের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও একাধিক কোম্পানি এই খাতে পেশাদার ভিত্তিতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশে ৮০০-এর বেশি নিরাপত্তা কোম্পানি আছে, যারা দূতাবাস, জাতিসংঘ সংস্থা, এনজিও, ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেবা দিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোহেব আমিন খান বলেন, নিরাপত্তা পেশাজীবীরা সমাজের নীরব রক্ষাকবচ। তাদের নিরলস শ্রমের কারণেই আমাদের প্রতিষ্ঠান, বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্র নিরাপদ থাকে। নিরাপত্তাকর্মীরা সমাজের অগ্রভাগে থেকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছেন। প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মনোভাবগত পরিবর্তন প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে ইউরো ভিজিল পর্যায়ক্রমে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় জরুরী ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদানকারী খাত হিসেবে নিরাপত্তাকর্মীরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন- বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি এই পেশাকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয় যাওয়ার জন্য ইউরো ভিজিল প্রতি বছরই এই দিবসটি গুরুত্ব সহকারে পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও আরও বড় পরিসরে তা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে নিরাপত্তা পেশাজীবীদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, প্রশিক্ষণ ও মানসিক দৃঢ়তাকে উৎসাহিত করতে নির্বাচিত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস) মেজর আহমেদ নুমান জাকি, পিএসসি (অবঃ) বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের সামাজিক মর্যাদা, সম্মানজনক বেতন এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত। তাই এই খাতকে পেশাগত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন এবং সামাজিক মর্যাদার নিশ্চয়তা দিয়ে একটি স্বীকৃত ও টেকসই শিল্পে পরিণত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

 

 

 

জনপ্রিয়

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিবস উপলক্ষে ‘‌ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর দিনব্যাপী অনুষ্ঠান

প্রকাশের সময়: ০৪:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি নিরাপত্তা খাতকে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিবস উপলক্ষে দেশের অন্যতম বেসরকারি নিরাপত্তা সেবা প্রদানকারী সংস্থা ‘ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর উদ্যোগে রাজধানীর বারিধারায় দিনব্যাপী নানা ধরনের কর্মূসচী পালিত হয়েছে। নিরাপত্তা পেশার প্রতি সম্মান, সচেতনতা এবং পেশাজীবীদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের দিবস উপলক্ষ্যে প্রথম পর্বে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান এবং নানা ধরনের উপহার সমগ্রী প্রদান করেন।

দ্বিতীয় পর্বে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় ‘ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড’ এর নির্বাহী পরিচালক এবং সিএফও অসীম মন্ডল বলেন, “শুধু বাহ্যিক নজরদারি নয়, আধুনিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হতে হবে প্রযুক্তিনির্ভর, আচরণগত বিশ্লেষক ও সংকট মোকাবেলায় দক্ষ। ইউরো ভিজিল এই মানদণ্ডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে ইতোমধ্যেই নিজেদের এগিয়ে রেখেছে। তিনি আরও বলেন, মুলত নব্বই দশক থেকে বেসরকারি নিরাপত্তা খাত দেশে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০০১ সালের ৯/১১ এর ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা খাতের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও একাধিক কোম্পানি এই খাতে পেশাদার ভিত্তিতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশে ৮০০-এর বেশি নিরাপত্তা কোম্পানি আছে, যারা দূতাবাস, জাতিসংঘ সংস্থা, এনজিও, ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেবা দিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোহেব আমিন খান বলেন, নিরাপত্তা পেশাজীবীরা সমাজের নীরব রক্ষাকবচ। তাদের নিরলস শ্রমের কারণেই আমাদের প্রতিষ্ঠান, বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্র নিরাপদ থাকে। নিরাপত্তাকর্মীরা সমাজের অগ্রভাগে থেকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছেন। প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মনোভাবগত পরিবর্তন প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে ইউরো ভিজিল পর্যায়ক্রমে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় জরুরী ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদানকারী খাত হিসেবে নিরাপত্তাকর্মীরা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন- বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি এই পেশাকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয় যাওয়ার জন্য ইউরো ভিজিল প্রতি বছরই এই দিবসটি গুরুত্ব সহকারে পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও আরও বড় পরিসরে তা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে নিরাপত্তা পেশাজীবীদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, প্রশিক্ষণ ও মানসিক দৃঢ়তাকে উৎসাহিত করতে নির্বাচিত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস) মেজর আহমেদ নুমান জাকি, পিএসসি (অবঃ) বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের সামাজিক মর্যাদা, সম্মানজনক বেতন এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত। তাই এই খাতকে পেশাগত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন এবং সামাজিক মর্যাদার নিশ্চয়তা দিয়ে একটি স্বীকৃত ও টেকসই শিল্পে পরিণত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।