
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেশাজীবী ও নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষকেও সড়কে নেমে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হতে দেখা যায়।
এর আগে গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ বৈশ্বিক ধর্মঘটের ডাক দেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংগঠন নিউইয়র্ক হেলথকেয়ার ওয়ার্কার্স ফর প্যালেস্টাইন এবং ডক্টরস অ্যাগেইনস্ট জেনোসাইড। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপস’, অর্থাৎ ‘গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কাজ ও স্কুল বন্ধ’ নামে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেয় ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বজুড়ে এ অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফিলিস্তিনে জায়নবাদী ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে জেলার সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার উদ্যোগে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা পৌর পার্কে এসে সমবেত হন ছাত্র-জনতা। সেখান থেকে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ নামে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস প্রদান করলে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
অপরদিকে সোমবার দুপুরে জেলা শহরের বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা ও কাচারী বাজার থেকেও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসব মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের সব ধরনের পণ্য বর্জনসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তাদের হাতে ‘বয়কট ট্রাম্প, সেভ ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট ইউএসএ’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। অবিলম্বে গাজায় হামলা ও গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ সকল মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















