বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুমে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল গঠন করবে সরকার

গুমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তহবিল গঠন করবে সরকার। তহবিল গঠনের সুযোগ রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭ তম সভায় এ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে তারই সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “এটা খবুই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আপনারা জানেন যে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় হাজার ছেলে-মেয়ে গুম-খুন হয়েছে। এ সংক্রান্ত কমিশনের কাছে প্রায় চার হাজারের মতো গুমের অভিযোগ জমা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “দেশে শত শত আয়না ঘর ছিল। এগুলোতে আটকে রেখে অত্যাচার করা হতো। অনেক বিএনপির কর্মী এখনো ফিরে আসেনি। এই গুম প্রতিকারের লক্ষ্যেই সরকার এই অধ্যাদেশ তৈরি করছে।”

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা, আইনি সহায়তা,  তহবিল গঠন ও তথ্য ভাণ্ডার গঠনের সুযোগ তৈরি করে সরকার গুম প্রতিকার বিষয়ক এই অধ্যাদেশ তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন সরকার দিয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।

এই তহবিল কোথা থেকে সংগ্রহ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “এটি এখনো আমি নিশ্চিত নই। তবে এটা সরকারের পক্ষ থেকেই হওয়ার কথা।”

 

ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আয়নঘর বা এমন কোনো আটক ঘর স্থাপন এবং এর ব্যাবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এই অধ্যাদেশে। এই ধরনের অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”

এ ছাড়া এই অধ্যাদেশবলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ১২০ দিনের মধ্যে অভিযোগ বা মামলা নিষ্পত্তি করার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

গুমে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল গঠন করবে সরকার

প্রকাশের সময়: ১২:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

গুমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তহবিল গঠন করবে সরকার। তহবিল গঠনের সুযোগ রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭ তম সভায় এ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে তারই সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “এটা খবুই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আপনারা জানেন যে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় হাজার ছেলে-মেয়ে গুম-খুন হয়েছে। এ সংক্রান্ত কমিশনের কাছে প্রায় চার হাজারের মতো গুমের অভিযোগ জমা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “দেশে শত শত আয়না ঘর ছিল। এগুলোতে আটকে রেখে অত্যাচার করা হতো। অনেক বিএনপির কর্মী এখনো ফিরে আসেনি। এই গুম প্রতিকারের লক্ষ্যেই সরকার এই অধ্যাদেশ তৈরি করছে।”

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা, আইনি সহায়তা,  তহবিল গঠন ও তথ্য ভাণ্ডার গঠনের সুযোগ তৈরি করে সরকার গুম প্রতিকার বিষয়ক এই অধ্যাদেশ তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন সরকার দিয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।

এই তহবিল কোথা থেকে সংগ্রহ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “এটি এখনো আমি নিশ্চিত নই। তবে এটা সরকারের পক্ষ থেকেই হওয়ার কথা।”

 

ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এই অধ্যাদেশে গুমকে সংজ্ঞায়নের পাশাপাশি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আয়নঘর বা এমন কোনো আটক ঘর স্থাপন এবং এর ব্যাবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এই অধ্যাদেশে। এই ধরনের অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।”

এ ছাড়া এই অধ্যাদেশবলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ১২০ দিনের মধ্যে অভিযোগ বা মামলা নিষ্পত্তি করার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে।