শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপির সিদ্ধান্তে বিচক্ষণতার ঘাটতি ছিল: বিএনপি মহাসচিব

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে দেশের রাজনীতিতে একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আজকের এই সনদ স্বাক্ষর প্রমাণ করে, জাতির প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে পারে।’

তিনি জানান, যেসব দল এখনো সনদে স্বাক্ষর করেনি, তাদের সাথেও আলোচনা চলবে এবং ভবিষ্যতে তারাও যুক্ত হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অনুপস্থিত থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনায় তারা বেশিরভাগ বিষয়ে ইতিবাচক ছিল। যেটুকু মতপার্থক্য ছিল, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। আমি মনে করি, তাদের সিদ্ধান্তে বিচক্ষণতার অভাব ছিল। নইলে তারাও আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নিত।’

তবে এটিকে বিভক্তি হিসেবে দেখতে নারাজ মির্জা ফখরুল। তাঁর বিশ্বাস, ‘তারা বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।’

সনদ স্বাক্ষরের পরও বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ থেকে যাবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিতর্ক রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা কখনোই পুরোপুরি শেষ হয় না। তবে সবকিছুর পরও আমি মনে করি এটি একটি বড় অর্জন।’

মির্জা ফখরুল জানান, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সামনে আরও বিস্তারিত আলোচনা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।

এনসিপির সিদ্ধান্তে বিচক্ষণতার ঘাটতি ছিল: বিএনপি মহাসচিব

প্রকাশের সময়: ০৪:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে দেশের রাজনীতিতে একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আজকের এই সনদ স্বাক্ষর প্রমাণ করে, জাতির প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে পারে।’

তিনি জানান, যেসব দল এখনো সনদে স্বাক্ষর করেনি, তাদের সাথেও আলোচনা চলবে এবং ভবিষ্যতে তারাও যুক্ত হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অনুপস্থিত থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনায় তারা বেশিরভাগ বিষয়ে ইতিবাচক ছিল। যেটুকু মতপার্থক্য ছিল, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। আমি মনে করি, তাদের সিদ্ধান্তে বিচক্ষণতার অভাব ছিল। নইলে তারাও আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নিত।’

তবে এটিকে বিভক্তি হিসেবে দেখতে নারাজ মির্জা ফখরুল। তাঁর বিশ্বাস, ‘তারা বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।’

সনদ স্বাক্ষরের পরও বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ থেকে যাবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিতর্ক রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা কখনোই পুরোপুরি শেষ হয় না। তবে সবকিছুর পরও আমি মনে করি এটি একটি বড় অর্জন।’

মির্জা ফখরুল জানান, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সামনে আরও বিস্তারিত আলোচনা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।