
রাজনৈতিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সনদে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্যর প্রতিনিধিরা।
বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে যোগ দেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরুতে কয়েক মিনিট দেরি হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, “আমাদের অনেক স্রোত, কিন্তু মোহনা একটি- সেটি হলো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন। জুলাই জাতীয় সনদ সেই যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “এই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ভূমিকা রয়েছে। মত ও পথের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে এগিয়ে যাবে- এই প্রত্যাশা করি।”
তবে এর আগে দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অবস্থান নেন কয়েকজন। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ‘জুলাই যোদ্ধারা’ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশের গাড়ি, ট্রাক ও বাসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া দেয় পুলিশ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।