শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ধসে পড়ছে ভবনের দেয়াল

চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার ‘অ্যাডামস ক্যাপস’ নামের একটি টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে, ঘটছে একের পর এক বিস্ফোরণ। ভয়াবহ তাপে ভবনের কয়েকটি দেয়াল ও উপরের তলা ধসে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নয়তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও আগুনের দাপট কমেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও বর্তমানে নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রায় ২০টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটিতে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে কেউ হতাহত হননি বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান। তিনি বলেন, “আগুন লাগার পরপরই শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাই প্রাণহানির আশঙ্কা নেই।”

সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের তাপে ভবনের উপরের দুটি তলা ও দেয়াল ভেঙে পড়েছে। আগুন উপরের দিক থেকে নিচের ফ্লোরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, বর্তমানে নিচতলাতেও আগুন জ্বলছে। আগুনের শিখা ভবনের ছাদ পেরিয়ে প্রায় ১০০ ফুট ওপরে উঠছে। দূর থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে, আর আশপাশের এলাকা তীব্র তাপে আচ্ছন্ন।

পাশের ‘আল হামেদি টেক্সটাইল’-এর কয়েকজন কর্মচারী জানান, অ্যাডামস ক্যাপস কারখানায় মূলত তোয়ালে ও হাসপাতালের ব্যবহারের জন্য পিপি জাতীয় পণ্য তৈরি করা হয়। সেখানে থাকা টিস্যু জাতীয় কাঁচামালের রোলের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণ, জনতা সরানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “ভবনের ভেতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের কর্মীরা আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করলেও পানির চাপ কম থাকায় কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।”

তিনি আরও জানান, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ধসে পড়ছে ভবনের দেয়াল

প্রকাশের সময়: ০৩:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার ‘অ্যাডামস ক্যাপস’ নামের একটি টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে, ঘটছে একের পর এক বিস্ফোরণ। ভয়াবহ তাপে ভবনের কয়েকটি দেয়াল ও উপরের তলা ধসে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নয়তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও আগুনের দাপট কমেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও বর্তমানে নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রায় ২০টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটিতে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে কেউ হতাহত হননি বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান। তিনি বলেন, “আগুন লাগার পরপরই শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাই প্রাণহানির আশঙ্কা নেই।”

সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের তাপে ভবনের উপরের দুটি তলা ও দেয়াল ভেঙে পড়েছে। আগুন উপরের দিক থেকে নিচের ফ্লোরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, বর্তমানে নিচতলাতেও আগুন জ্বলছে। আগুনের শিখা ভবনের ছাদ পেরিয়ে প্রায় ১০০ ফুট ওপরে উঠছে। দূর থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে, আর আশপাশের এলাকা তীব্র তাপে আচ্ছন্ন।

পাশের ‘আল হামেদি টেক্সটাইল’-এর কয়েকজন কর্মচারী জানান, অ্যাডামস ক্যাপস কারখানায় মূলত তোয়ালে ও হাসপাতালের ব্যবহারের জন্য পিপি জাতীয় পণ্য তৈরি করা হয়। সেখানে থাকা টিস্যু জাতীয় কাঁচামালের রোলের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণ, জনতা সরানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “ভবনের ভেতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের কর্মীরা আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করলেও পানির চাপ কম থাকায় কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।”

তিনি আরও জানান, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।