বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারিবারিক সহিংসতায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা

পারিবারিক সহিংসতায় দেশে আশঙ্কাজনক হারে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে দেশে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩৬৩টি। আর ওসব ঘটনায় ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ২০৮ জন নারী ও শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। আর ১১৪ জন আত্মহত্যা করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৩ জন নারীর স্বামীর হাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া স্বামীর পরিবারের সদস্যদের হাতে ৪২ জন হত্যার শিকার হয়েছে। আর নিজ পরিবারের সদস্যদের হাতে ৩৩ জন হত্যার শিকার হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মানবাধিকার সংগঠন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নারী সুরক্ষা হেল্পলাইন ‘১০৯’-এ শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার নারীর জন্য সহায়তা চেয়ে ৪৮ হাজার ৭৪৫টি কল এসেছে। আর জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ গত জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে ৮ মাসে নারী নির্যাতনের ঘটনায় কল এসেছে ১৭ হাজার ৩৪১টি। তার মধ্যে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগে ৯ হাজার ৭৪৬টি কল এসেছে। ওসব কলের মধ্যে ৯ হাজার ৩৯৪টি শুধু স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে।

সূত্র জানায়, পারিবারিক সহিংসতা বেশি হচ্ছে মূলত পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও আইন প্রয়োগে দুর্বলতায়। পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি নারী নির্যাতনের ক্ষেত্র তৈরি করে। যে নারীর পড়াশোনা কম, পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, তাঁরা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একধরনের সংস্কার আছে। ফলে মেয়েদের পরিবার চায়, যেভাবেই হোক মেয়ে যেন সংসার টিকিয়ে রাখুক। আর এ মনোভাব থেকে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বল অবস্থার কারণেও বাড়ে নির্যাতনের ঘটনা। নারীদের অবশ্যই নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়াও জরুরি। কারণ শাস্তির ভয় থাকলে নির্যাতন কম হয়।

জনপ্রিয়

৩২ ঘন্টার চেষ্টায় শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার

পারিবারিক সহিংসতায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা

প্রকাশের সময়: ০৪:২০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পারিবারিক সহিংসতায় দেশে আশঙ্কাজনক হারে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে দেশে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩৬৩টি। আর ওসব ঘটনায় ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ২০৮ জন নারী ও শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। আর ১১৪ জন আত্মহত্যা করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৩ জন নারীর স্বামীর হাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া স্বামীর পরিবারের সদস্যদের হাতে ৪২ জন হত্যার শিকার হয়েছে। আর নিজ পরিবারের সদস্যদের হাতে ৩৩ জন হত্যার শিকার হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মানবাধিকার সংগঠন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নারী সুরক্ষা হেল্পলাইন ‘১০৯’-এ শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার নারীর জন্য সহায়তা চেয়ে ৪৮ হাজার ৭৪৫টি কল এসেছে। আর জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ গত জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে ৮ মাসে নারী নির্যাতনের ঘটনায় কল এসেছে ১৭ হাজার ৩৪১টি। তার মধ্যে পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগে ৯ হাজার ৭৪৬টি কল এসেছে। ওসব কলের মধ্যে ৯ হাজার ৩৯৪টি শুধু স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে।

সূত্র জানায়, পারিবারিক সহিংসতা বেশি হচ্ছে মূলত পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও আইন প্রয়োগে দুর্বলতায়। পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি নারী নির্যাতনের ক্ষেত্র তৈরি করে। যে নারীর পড়াশোনা কম, পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, তাঁরা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একধরনের সংস্কার আছে। ফলে মেয়েদের পরিবার চায়, যেভাবেই হোক মেয়ে যেন সংসার টিকিয়ে রাখুক। আর এ মনোভাব থেকে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বল অবস্থার কারণেও বাড়ে নির্যাতনের ঘটনা। নারীদের অবশ্যই নির্যাতনমূলক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়াও জরুরি। কারণ শাস্তির ভয় থাকলে নির্যাতন কম হয়।