সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৭ জন, চূড়ান্ত তালিকায় নেই এম এ জি ওসমানী

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিতে চলতি বছর সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপনে এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

২০২৫ সালে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ সাহিত্যে, নভেরা আহমেদ সংস্কৃতিতে, স্যার ফজলে হাসান আবেদ সমাজসেবায়, মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে, বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর শিক্ষা ও গবেষণায় এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ প্রতিবাদী তারুণ্য ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন।

এবারের তালিকার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। কেবল বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে আগেই এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। এছাড়া, ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ ক্যাটাগরিটি এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে।

এর আগে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছিল, এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় এম এ জি ওসমানীর নাম আছে। তবে চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম নেই।

এ নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কাউকে এই পুরস্কার দেয়া হয় না। এজন্য চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম রাখা হয়নি।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

এএফ/

জনপ্রিয়

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৭ জন, চূড়ান্ত তালিকায় নেই এম এ জি ওসমানী

প্রকাশের সময়: ১১:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিতে চলতি বছর সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপনে এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

২০২৫ সালে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে, মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ সাহিত্যে, নভেরা আহমেদ সংস্কৃতিতে, স্যার ফজলে হাসান আবেদ সমাজসেবায়, মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে, বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর শিক্ষা ও গবেষণায় এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ প্রতিবাদী তারুণ্য ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন।

এবারের তালিকার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। কেবল বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে আগেই এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। এছাড়া, ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ ক্যাটাগরিটি এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে।

এর আগে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছিল, এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় এম এ জি ওসমানীর নাম আছে। তবে চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম নেই।

এ নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কাউকে এই পুরস্কার দেয়া হয় না। এজন্য চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম রাখা হয়নি।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

এএফ/