
আমি যেখানে জীবন কাটাই শত যন্ত্রনা,ছলোনা
রুটি সবজির অন্বেষনে কবিতা সেখানে চলে না !
তবু লিখে যাই মনকে বুঝাই সবি তো অভিজ্ঞতা
এত চাহিদায় পাগল সবাই কে রাখে কা’র কথা !
ক্ষুধারাও জাগে সকাল হলে জঠরে জ্বলে তো আগুন
অন্তবিহীন পথ চেয়ে থাকা জীবনে আসে না ফাগুন ।
কত গোলমেলে সমাজে এথায় জীবন হচ্ছে ক্ষয়
আমার কথা বোঝে বটে সবে তবু দেখি অভিনয় ।
কাজে ছুটি বেশ সকালে উঠি জগতে চলতে হবে
কত যে আবেগ ছিঁড়ে ছুটে যায় জীবনের কলোরবে ।
আঁখি ঘুমালে টেনেই তুলি শরীরও উঠতে চায় না
সময়ের ঘড়ি বেঁজে উঠলে তিথীদের রাখা যায় না ।
তোমার সাথে চলবো প্রিয় মেলাতে পারি না তাল
আপনজনের মন জোগাতে আজো চলে যায় কাল ।
শত অনুনয় কত যে বিনয় থাকেনা তো ভাষা বলার
কত প্রিয়জন চায় না আমায় চেয়ে বসে আজ ডলার ।
সেবকের নামে ঘামের দিলাম পারিনি হতে তো ধন্য
দুধ দিয়ে বুঝি বিষ বাড়ালাম অনেকে বানালো পণ্য !
বিশ্বাস করে সব হারালাম বাড়লো সুদের দেনা
কতকাল তিথি হারানোর পর,মানুষগুলোকে চেনা ।
বদলে গেলো স্বরূপ আমার শুভময় কত ভাবনা
পাগল হয়ে নীরবে থাকি সব দেশে আছে পাবনা ।
দেশাত্ববোধ এখনো সজীব সুখের বাংলাদেশে
যে ঠিকানায় বসত করি কেউ তো থাকে না শেষে !
বিশ্বাস করে গেলাম ফেঁসে সময়ের কাছে ঝুলি
হাজার মনে নেই ঠিকানা কার নামে ফুল তুলি ।
বললো না কেউ সারা জীবনে দিয়েছো এবার নাও
চাহিদা সবার বেড়েছে এত শুধু বলে দাও দাও ।
কর্মের কাল শেষ হয়েছে জেলখানা তবু ছাড়ে না
মুখের কথায় কত ধারলাম কেউ ফেরতের ধারে না ।
সুখের নামে পাল্লা দিয়ে পাথরের পথে চলি
ভুলের পরে নতুন ভুলে নিজেকে দিচ্ছি বলি ।
সাত মিশালীর দিনগুলো যায় কতরূপী আচরণে
প্রত্যাশাহীন ঘটনা ঘটে সাজানো আমার মনে ।
এখানে হাসি কাঁদি এখানেই যোগ করে ভাগ টানি
আমার বেলায় যথাযথ নয় মহাপুরুষের বাণী ।
বুদ্ধির রথে সীমা ছেড়ে যাই জগতে হবো তো সুখী
শত ব্যবধানে ফিরি সমাধানে আপনার মুখোমুখি
বিমল সরকার 





















