বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমল সরকারের কবিতা -“নিজের মুখোমুখি”  

  • বিমল সরকার
  • প্রকাশের সময়: ০৯:২৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১১৬

 

আমি যেখানে জীবন কাটাই শত যন্ত্রনা,ছলোনা

রুটি সবজির অন্বেষনে কবিতা সেখানে চলে না !

তবু লিখে যাই মনকে বুঝাই সবি তো অভিজ্ঞতা

এত চাহিদায় পাগল সবাই কে রাখে কা’র কথা !

ক্ষুধারাও জাগে সকাল হলে জঠরে জ্বলে তো আগুন

অন্তবিহীন পথ চেয়ে থাকা জীবনে আসে না ফাগুন ।

কত গোলমেলে সমাজে এথায় জীবন হচ্ছে ক্ষয়

আমার কথা বোঝে বটে সবে তবু দেখি অভিনয় ।

কাজে ছুটি বেশ সকালে উঠি জগতে চলতে হবে

কত যে আবেগ ছিঁড়ে ছুটে যায় জীবনের কলোরবে ।

আঁখি ঘুমালে টেনেই তুলি শরীরও উঠতে চায় না

সময়ের ঘড়ি বেঁজে উঠলে তিথীদের রাখা যায় না ।

তোমার সাথে চলবো প্রিয় মেলাতে পারি না তাল

আপনজনের মন জোগাতে আজো চলে যায় কাল ।

শত অনুনয় কত যে বিনয় থাকেনা তো ভাষা বলার

কত প্রিয়জন চায় না আমায় চেয়ে বসে আজ ডলার ।

সেবকের নামে ঘামের দিলাম পারিনি হতে তো ধন্য

দুধ দিয়ে বুঝি বিষ বাড়ালাম অনেকে বানালো পণ্য !

বিশ্বাস করে সব হারালাম বাড়লো সুদের দেনা

কতকাল তিথি হারানোর পর,মানুষগুলোকে চেনা ।

বদলে গেলো স্বরূপ আমার শুভময় কত ভাবনা

পাগল হয়ে নীরবে থাকি সব দেশে আছে পাবনা ।

দেশাত্ববোধ এখনো সজীব সুখের বাংলাদেশে

যে ঠিকানায় বসত করি কেউ তো থাকে না শেষে !

বিশ্বাস করে গেলাম ফেঁসে সময়ের কাছে ঝুলি

হাজার মনে নেই ঠিকানা কার নামে ফুল তুলি ।

বললো না কেউ সারা জীবনে দিয়েছো এবার নাও

চাহিদা সবার বেড়েছে এত শুধু বলে দাও দাও ।

কর্মের কাল শেষ হয়েছে জেলখানা তবু ছাড়ে না

মুখের কথায় কত ধারলাম কেউ ফেরতের ধারে না ।

সুখের নামে পাল্লা দিয়ে পাথরের পথে চলি

ভুলের পরে নতুন ভুলে নিজেকে দিচ্ছি বলি ।

সাত মিশালীর দিনগুলো যায় কতরূপী আচরণে

প্রত্যাশাহীন ঘটনা ঘটে সাজানো আমার মনে ।

এখানে হাসি কাঁদি এখানেই যোগ করে ভাগ টানি

আমার বেলায় যথাযথ নয় মহাপুরুষের বাণী ।

বুদ্ধির রথে সীমা ছেড়ে যাই জগতে হবো তো সুখী

শত ব্যবধানে ফিরি সমাধানে আপনার মুখোমুখি

জনপ্রিয়

‘অপমানবোধ’ করছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ভোটের পরে সরে যেতে চান : রয়টার্সের খবর

বিমল সরকারের কবিতা -“নিজের মুখোমুখি”  

প্রকাশের সময়: ০৯:২৬:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

 

আমি যেখানে জীবন কাটাই শত যন্ত্রনা,ছলোনা

রুটি সবজির অন্বেষনে কবিতা সেখানে চলে না !

তবু লিখে যাই মনকে বুঝাই সবি তো অভিজ্ঞতা

এত চাহিদায় পাগল সবাই কে রাখে কা’র কথা !

ক্ষুধারাও জাগে সকাল হলে জঠরে জ্বলে তো আগুন

অন্তবিহীন পথ চেয়ে থাকা জীবনে আসে না ফাগুন ।

কত গোলমেলে সমাজে এথায় জীবন হচ্ছে ক্ষয়

আমার কথা বোঝে বটে সবে তবু দেখি অভিনয় ।

কাজে ছুটি বেশ সকালে উঠি জগতে চলতে হবে

কত যে আবেগ ছিঁড়ে ছুটে যায় জীবনের কলোরবে ।

আঁখি ঘুমালে টেনেই তুলি শরীরও উঠতে চায় না

সময়ের ঘড়ি বেঁজে উঠলে তিথীদের রাখা যায় না ।

তোমার সাথে চলবো প্রিয় মেলাতে পারি না তাল

আপনজনের মন জোগাতে আজো চলে যায় কাল ।

শত অনুনয় কত যে বিনয় থাকেনা তো ভাষা বলার

কত প্রিয়জন চায় না আমায় চেয়ে বসে আজ ডলার ।

সেবকের নামে ঘামের দিলাম পারিনি হতে তো ধন্য

দুধ দিয়ে বুঝি বিষ বাড়ালাম অনেকে বানালো পণ্য !

বিশ্বাস করে সব হারালাম বাড়লো সুদের দেনা

কতকাল তিথি হারানোর পর,মানুষগুলোকে চেনা ।

বদলে গেলো স্বরূপ আমার শুভময় কত ভাবনা

পাগল হয়ে নীরবে থাকি সব দেশে আছে পাবনা ।

দেশাত্ববোধ এখনো সজীব সুখের বাংলাদেশে

যে ঠিকানায় বসত করি কেউ তো থাকে না শেষে !

বিশ্বাস করে গেলাম ফেঁসে সময়ের কাছে ঝুলি

হাজার মনে নেই ঠিকানা কার নামে ফুল তুলি ।

বললো না কেউ সারা জীবনে দিয়েছো এবার নাও

চাহিদা সবার বেড়েছে এত শুধু বলে দাও দাও ।

কর্মের কাল শেষ হয়েছে জেলখানা তবু ছাড়ে না

মুখের কথায় কত ধারলাম কেউ ফেরতের ধারে না ।

সুখের নামে পাল্লা দিয়ে পাথরের পথে চলি

ভুলের পরে নতুন ভুলে নিজেকে দিচ্ছি বলি ।

সাত মিশালীর দিনগুলো যায় কতরূপী আচরণে

প্রত্যাশাহীন ঘটনা ঘটে সাজানো আমার মনে ।

এখানে হাসি কাঁদি এখানেই যোগ করে ভাগ টানি

আমার বেলায় যথাযথ নয় মহাপুরুষের বাণী ।

বুদ্ধির রথে সীমা ছেড়ে যাই জগতে হবো তো সুখী

শত ব্যবধানে ফিরি সমাধানে আপনার মুখোমুখি