উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। রোববার সকাল ছয়টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় তিন সেন্টমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব ক’টি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রেখেছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।
নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৫টি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বসত-ভিটায় পানি ঢুকে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে ১২টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো।
সকাল ৯টায় পানি তিন সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানি বাড়ার ফলে নদীর তীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।
এসব চরগ্রামের প্রায় ১২ হেক্টর জমির আমন ধান খেত আংশিক নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে নদীর পানিতে। তবে বর্তমানে পানি কমতে থাকায় শঙ্কা কিছুটা কেটেছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আতিকুর রহমান বলেন, গত চারদিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। শনিবার বেলা ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীরা পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে ১২টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে সকাল ৬টায় পর্যন্ত বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় কমে বর্তমানে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফুঁসছে তিস্তা, গজলডোবা ব্যারেজে বিপুল পানির চাপ।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব কয়টি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আমরা সতর্কাবস্থায় রয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ধীরে ধীরে কমবে।
কালের চিঠি /কেএনকে