
চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এখনো স্বাভাবিক হচ্ছে না শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিবেশ। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্ধ রয়েছে ২ শতাধিক পোশাক কারখানার উৎপাদন। নতুন করে বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর সামনে সকালে শ্রমিকরা জড়ো হলেও পরে তারা ফিরে যায়।
এ ব্যাপারে বন্ধ কারাখানার কতৃপক্ষ জানান, তাদের শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না কারখানা। তবে শ্রমিক, পুলিশ ও বিজিএমইএ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ -১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ৮৬টি কারখানা অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১২৩ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছেন মালিক পক্ষ। বাকি কারখানাগুলোতে সকাল থেকে প্রবেশ করেছে শ্রমিকরা।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোথাও কোন রকম সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে যৌথবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
প্রসঙ্গত, পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের চেয়ে পুরুষ শ্রমিক বেশি নিয়োগ দিতে হবে– এ প্রধান দাবিসহ আরও কিছু দাবি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ চলছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গত কয়েক দিন নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েও হয় সমন্বয় সভা।
গবেষণা সংস্থা ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমআইবি) পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের হার এখন ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একসময় এ হার প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল
কালের চিঠি ডেস্ক 























