মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন স্ত্রীও

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সেচ পাম্পের ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্বামী কাসেদ আলী। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আলেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই মারা গেছেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বালাআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে কাসেদ আলী তার স্ত্রী আলেমা বেগমকে নিয়ে বাড়ির পাশে ধানের জমি পরিচর্যার কাজ করছিলেন। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে কাসেদ আলী জমির পাশে থাকা টিনের তৈরি সেচ পাম্পের ঘরে যান বিশ্রামের জন্য। কিন্তু সেচ পাম্পের ঘরের বৈদ্যুতিক তারের ছেড়া অংশ টিনের সঙ্গে লেগে ছিল। এ সময় হঠাৎ করে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ দৃশ্য দেখে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আলেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে খবর পেয়ে স্বজন ও আশপাশের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেচ পাম্পের ঘরে কাসেদ আলী বিশ্রামের সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিস্তু কিছু সময় পর হঠাৎ বিদ্যুৎ আসলে কাসেদ আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হবে।

 

কালের চিঠি /এএফ

জনপ্রিয়

বল ভেবে ককটেল বিস্ফোরণ শিশুর মৃত্যু 

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন স্ত্রীও

প্রকাশের সময়: ০১:০৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সেচ পাম্পের ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্বামী কাসেদ আলী। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আলেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই মারা গেছেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বালাআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে কাসেদ আলী তার স্ত্রী আলেমা বেগমকে নিয়ে বাড়ির পাশে ধানের জমি পরিচর্যার কাজ করছিলেন। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে কাসেদ আলী জমির পাশে থাকা টিনের তৈরি সেচ পাম্পের ঘরে যান বিশ্রামের জন্য। কিন্তু সেচ পাম্পের ঘরের বৈদ্যুতিক তারের ছেড়া অংশ টিনের সঙ্গে লেগে ছিল। এ সময় হঠাৎ করে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ দৃশ্য দেখে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী আলেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে খবর পেয়ে স্বজন ও আশপাশের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেচ পাম্পের ঘরে কাসেদ আলী বিশ্রামের সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কিস্তু কিছু সময় পর হঠাৎ বিদ্যুৎ আসলে কাসেদ আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হবে।

 

কালের চিঠি /এএফ