গাইবান্ধায় টানা তিন দিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান চারটি নদনদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়লেও জেলার সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমেছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১২টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বাড়ে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ দশমিক ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে জেলার নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাত থেকে তিস্তার পানি কমছে। করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অতি বৃষ্টি আর উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার শঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নদীবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।