রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলের সঙ্গে অভিমানে গলায় ফাঁস দিলেন মা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় রেজিয়া বেওয়া (৫৫) নামের এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। তার ছেলে আনিছুর রহমানের সঙ্গে অভিমানে এই তিনি পথ বেঁছে নিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালের উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চকশালাইপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেজিয়া বেওয়া চকশালাইপুর গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, রেজিয়া বেওয়ার ছেলে আনিছুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। এরই জেরে আনিছুরের স্ত্রী বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে আনিছুর রহমান প্রায়ই তার মা রেজিয়ার সঙ্গে ক্ষুব্ধ হতেন। এমন আমানসিকতা সহ্য না করতে পেরে রেজিয়া বেওয়া একাধিকবার আত্নহত্যার চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ছেলের সঙ্গে অভিযান করে সম্প্রতি রেজিয়া বেওয়া তার মেয়ের বাড়িতে চলে যান। এরই একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রেজিয়া বেওয়া নিজ বাড়িতে ফিরেন। এরপর নিখোঁজ হলে তাকে খোঁজাখুজিঁ করেন স্বজনরা। এমতাবস্থায় শুক্রবার সকালের দিকে বাড়ির পাশে সৈয়দ আলীর একটি খড়ের ঘরে রেজিয়া বেওয়ার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়।

এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেজিয়া বেওয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তবে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে সেটি আমার জানা নেই। পরে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু কামাল বলেন, রেজিয়া বেওয়া নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

ছেলের সঙ্গে অভিমানে গলায় ফাঁস দিলেন মা

প্রকাশের সময়: ০৪:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় রেজিয়া বেওয়া (৫৫) নামের এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। তার ছেলে আনিছুর রহমানের সঙ্গে অভিমানে এই তিনি পথ বেঁছে নিয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালের উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চকশালাইপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেজিয়া বেওয়া চকশালাইপুর গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, রেজিয়া বেওয়ার ছেলে আনিছুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। এরই জেরে আনিছুরের স্ত্রী বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে আনিছুর রহমান প্রায়ই তার মা রেজিয়ার সঙ্গে ক্ষুব্ধ হতেন। এমন আমানসিকতা সহ্য না করতে পেরে রেজিয়া বেওয়া একাধিকবার আত্নহত্যার চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ছেলের সঙ্গে অভিযান করে সম্প্রতি রেজিয়া বেওয়া তার মেয়ের বাড়িতে চলে যান। এরই একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রেজিয়া বেওয়া নিজ বাড়িতে ফিরেন। এরপর নিখোঁজ হলে তাকে খোঁজাখুজিঁ করেন স্বজনরা। এমতাবস্থায় শুক্রবার সকালের দিকে বাড়ির পাশে সৈয়দ আলীর একটি খড়ের ঘরে রেজিয়া বেওয়ার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়।

এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেজিয়া বেওয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তবে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে সেটি আমার জানা নেই। পরে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু কামাল বলেন, রেজিয়া বেওয়া নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।