ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে মোটরসাইকেল প্রতীকে আবু সাঈদ ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঘোড়া প্রতীকে জিএম সেলিম পারভেজ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৬ ভোট। এর আগে সাঘাটা উপজেলায় সামশীল আরেফিন টিটু চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ওই দুই উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার ফুলছড়ি উপজেলায় ৬০ ও সাঘাটা উপজেলায় ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলায় দুপুরের দিকে ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ ভোট বর্জন ঘোষণা করেন। তিনি সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করেছেন বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
এদিকে, ফুলছড়ি উপজেলায় চশমা প্রতীকে রাসেল বিন ওয়াহেদ ১২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি টিউবয়েল প্রতীকে আব্দুস ছাত্তার পেয়েছেন ১০ হাজার ৯০৫ ভোট। এছাড়া হাঁস প্রতীকে রাসেদা বেগম ১৮ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রজাপতি প্রতীকে শাখিয়া পারভীন পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৩৬ ভোট।
অপরদিকে, সাঘাটা উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে রোস্তম আলী ৮ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বই প্রতীকে মিলন সরকার পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৩ ভোট। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে রওশন আরা বেগম ১৭ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাজনীন বেগম হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬০ ভোট।
এ তথ্য নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব বলেন, কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।