সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, প্রদীপের শেষ আলোটুকুও নিভে গেল

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৯) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নেয়ার পর মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত ভোর রাত চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ওই ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে-ই বেঁচে ছিল। সোনিয়া স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাঈনউদ্দীন সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুনেছি সে ভোরে মারা গিয়েছে। সকাল সাড়ে এগারোটায় তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

সোনিয়ার প্রতিবেশীরা জানান, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

সোনিয়াদের বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টিতে সোনিয়াদের টিনের বসতঘরের ওপর ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরি বেগম (৪৫), বড় বোন সামিয়া সুলতানা (১৪), সাবিনা আক্তার (১১) ও ছোট ভাই সায়েম আহমদ (৭) মারা যায়।

 

এদিন বিকেলে স্থানীয় হাজী ইনজাদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ওই পাঁচজনের জানাজা হয়। এতে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। পরে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের লাশ দাফন করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুর রহমান চৌধুরী জানান, সোনিয়ার মরদেহ এসে বাড়িতে পৌঁছেছে, বুধবার দুপর ২টার সময় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পরিবারের বাকি সদস্যের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, প্রদীপের শেষ আলোটুকুও নিভে গেল

প্রকাশের সময়: ০৮:৫০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৯) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নেয়ার পর মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত ভোর রাত চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ওই ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনও মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে-ই বেঁচে ছিল। সোনিয়া স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাঈনউদ্দীন সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুনেছি সে ভোরে মারা গিয়েছে। সকাল সাড়ে এগারোটায় তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

সোনিয়ার প্রতিবেশীরা জানান, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

সোনিয়াদের বাড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রাম। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টিতে সোনিয়াদের টিনের বসতঘরের ওপর ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরি বেগম (৪৫), বড় বোন সামিয়া সুলতানা (১৪), সাবিনা আক্তার (১১) ও ছোট ভাই সায়েম আহমদ (৭) মারা যায়।

 

এদিন বিকেলে স্থানীয় হাজী ইনজাদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ওই পাঁচজনের জানাজা হয়। এতে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। পরে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের লাশ দাফন করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুর রহমান চৌধুরী জানান, সোনিয়ার মরদেহ এসে বাড়িতে পৌঁছেছে, বুধবার দুপর ২টার সময় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পরিবারের বাকি সদস্যের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

কালের চিঠি / আলিফ