বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেন ও জলদস্যুর সঙ্গে যোগাযোগ

 

২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আজ বুধবার (২০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

 

তিনি বলেন, জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। পাশাপাশি, জাহাজে থাকা জলদস্যুর এক সদস্যের সঙ্গেও প্রাথমিক যোগাযোগ হয়েছে।

 

মাকসুদ আলম আরও বলেন, জলদস্যুরা জাহাজে থাকা ক্যাপ্টেনকে দেশে যোগাযোগ করার অনুমতি দিয়েছে। জলদস্যুরা নাবিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না। জাহাজে খাবার যথেষ্ট রয়েছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে জলদস্যুরা। জিম্মি করা হয় ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে। তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি বর্তমানে গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ৪০/৪৫ নটিক্যাল মাইল উত্তরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। যেটি সোমালীয় জলদস্যুদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।

 

এতোদিন নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ এলো জলদস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের খবর। এটির ফলে দুপক্ষের মধ্যে অনুকূল আলোচনার পথ তৈরি হতে পারে।

 

 

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কে ‘টানাপোড়েন আছে’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেন ও জলদস্যুর সঙ্গে যোগাযোগ

প্রকাশের সময়: ০৪:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

 

২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আজ বুধবার (২০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

 

তিনি বলেন, জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। পাশাপাশি, জাহাজে থাকা জলদস্যুর এক সদস্যের সঙ্গেও প্রাথমিক যোগাযোগ হয়েছে।

 

মাকসুদ আলম আরও বলেন, জলদস্যুরা জাহাজে থাকা ক্যাপ্টেনকে দেশে যোগাযোগ করার অনুমতি দিয়েছে। জলদস্যুরা নাবিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না। জাহাজে খাবার যথেষ্ট রয়েছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে জলদস্যুরা। জিম্মি করা হয় ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে। তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি বর্তমানে গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ৪০/৪৫ নটিক্যাল মাইল উত্তরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। যেটি সোমালীয় জলদস্যুদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।

 

এতোদিন নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ এলো জলদস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের খবর। এটির ফলে দুপক্ষের মধ্যে অনুকূল আলোচনার পথ তৈরি হতে পারে।

 

 

কালের চিঠি / আলিফ