গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় নির্মাণাধীন সড়কের প্যালাসাইডিং তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে সড়কটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি উপজেলার নাগবাড়ি বাজার-বুড়ির বাজার সড়কের চাঁদ করিম নামক স্থানে দেখা গেছে পুকুরের পাশের প্যালাসাইডিং তুলে নিয়ে যাওয়ার চিত্র। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার সচেতন মানুষ।
জানা যায়, এক সময় নাগবাড়ি বাজার থেকে চাঁদ করিম পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা ছিল। এতে করে বর্ষা মৌসুমে চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হতো। পরে রাস্তাটি পাকা করা হয়। এর আগে চাঁদ করিম নামক স্থানে এমদাদুল হকের পুকুরের পাশে রাস্তা সুরক্ষায় ইউপি থেকে প্যালাসাইডিং নির্মাণ করা হয়।
এর মধ্যেই মেসার্স রিয়া ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই পুকুর পারে আরও একটি প্যালাসাইডিং নির্মাণ করে। ঠিকাদার ওই স্থানে মাটি ভরাট না করায় চাঁদ করিম গ্রামের এমদাদুল হক পুরাতন প্যালাসাইডিং খুলে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া একই গ্রামের হামিদ ও ঘোগা মিয়াসহ আরও একাধিক ব্যক্তি পুরাতন প্যালাসাইডিংয়ের প্লেট তুলে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এতে পুকুর ঘেঁষে নির্মাণাধীন পাকা সড়কটি ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। যেকোনো সময় ওই স্থানের সড়ক পুকুরে বিলীন হতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, কুচক্রী এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা না হলে পুকুরে বিলীন হয়ে যেতে পারে এ সড়ক।
অভিযুক্ত এমদাদুল হক বলেন, ‘পুরাতন প্যালাসাইডিং একটি প্লেট তুলেছি। বাকি সব কারা নিয়ে গেছে সেটি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে মেসার্স রিয়া ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজু মিয়া বলেন, ‘পুরাতন প্যালাসাইডিং তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। দ্রুত সেখানে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।’
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শাহীনুর রহমান জানান, ‘প্যালাসাইডিং তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জেনেছি। সেখানে গিয়ে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কালের চিঠি /