শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুরির বিচারের প্রতিশোধ নিতে জামায়াত নেতাকে গলাকেটে হত্যা!

চুরি করে ধরা পড়া, গ্রামে সাব্যস্ত হওয়া এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হওয়া— এসবের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আপন খালুকেই গলা কেটে হত্যা করল ভাতিজা! এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ম শ্রেণির ছাত্র রিফাত মন্ডল সিফাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ( ১৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় মোবাইল ফোনে বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল আহমেদ।

এরআগে একইদিন ভোররাতে গাইবান্ধা শহরের মাষ্টার পাড়ার নিউ মেরিট কোচিং সেন্টারের মেস থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সিফাত (১৬) একই উপজেলার একই গ্রামের ছামিউল ইসলাম ছানার ছেলে এবং নাকইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

হত্যার শিকার নজরুল ইসলাম (নজির) ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শীতলগ্রাম ওয়ার্ড সভাপতি। তিনি নগদ-বিকাশ সেবার পাশাপাশি পান ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতলগ্রামের জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামের বিকাশ দোকানে চুরি হয়। স্থানীয় সালিশে প্রমাণিত হয় চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নজরুল ইসলামের আপন শালীর ছেলে সিফাত (১৬)। তখন সিফাতের পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল আহমেদ বলেন, আজ ভোর রাতে গাইবান্ধা শহরের একটি কোচিং সেন্টারের মেস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সিফাতকে।

পরে তার দেওয়া তথ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চুরি ও লুট করা নজরুল ইসলামের ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এসময় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, চোর সনাক্তের ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে সিফাত। অবশেষে গত ১৬ আগস্ট রাতে খালু নজরুল ইসলামকে (নজির) গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে যায়। নজরুল ইসলাম সিফাতের আপন খালু হয়।

ওসি আরো বলেন, ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামকে গলা কেটে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। পরদিন ১৭ আগস্ট সকালে নজরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একইদিন গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করে জামায়াত নেতার পরিবার।

জনপ্রিয়

দ্যা ডিসেন্টের অনুসন্ধান : হাদিকে গুলি করার আগে অপরাধীরা তার সাথে জনসংযোগেও ছিলো !

চুরির বিচারের প্রতিশোধ নিতে জামায়াত নেতাকে গলাকেটে হত্যা!

প্রকাশের সময়: ১১:৪৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

চুরি করে ধরা পড়া, গ্রামে সাব্যস্ত হওয়া এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হওয়া— এসবের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আপন খালুকেই গলা কেটে হত্যা করল ভাতিজা! এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ম শ্রেণির ছাত্র রিফাত মন্ডল সিফাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ( ১৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় মোবাইল ফোনে বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল আহমেদ।

এরআগে একইদিন ভোররাতে গাইবান্ধা শহরের মাষ্টার পাড়ার নিউ মেরিট কোচিং সেন্টারের মেস থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সিফাত (১৬) একই উপজেলার একই গ্রামের ছামিউল ইসলাম ছানার ছেলে এবং নাকইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

হত্যার শিকার নজরুল ইসলাম (নজির) ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শীতলগ্রাম ওয়ার্ড সভাপতি। তিনি নগদ-বিকাশ সেবার পাশাপাশি পান ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতলগ্রামের জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামের বিকাশ দোকানে চুরি হয়। স্থানীয় সালিশে প্রমাণিত হয় চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নজরুল ইসলামের আপন শালীর ছেলে সিফাত (১৬)। তখন সিফাতের পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল আহমেদ বলেন, আজ ভোর রাতে গাইবান্ধা শহরের একটি কোচিং সেন্টারের মেস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সিফাতকে।

পরে তার দেওয়া তথ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চুরি ও লুট করা নজরুল ইসলামের ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এসময় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, চোর সনাক্তের ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে সিফাত। অবশেষে গত ১৬ আগস্ট রাতে খালু নজরুল ইসলামকে (নজির) গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে যায়। নজরুল ইসলাম সিফাতের আপন খালু হয়।

ওসি আরো বলেন, ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় জামায়াত নেতা নজরুল ইসলামকে গলা কেটে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। পরদিন ১৭ আগস্ট সকালে নজরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একইদিন গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করে জামায়াত নেতার পরিবার।