বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিসি ফুটবল টুর্নামেন্টে গোবিন্দগঞ্জের বিজয়: লাখো দর্শকের উল্লাসে কেঁপে উঠলো স্টেডিয়াম

তাসলিমুল হাসান সিয়াম: গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচে উত্তেজনাপূর্ণ ট্রাইব্রেকারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা গাইবান্ধা পৌরসভা দলকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে নেয়।

 

গ্যালারি ও মাঠ  ভর্তি দর্শক। ছবি: কালের চিঠি 

১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে গোল সংখ্যা ২-২ হওয়ায় খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। সেখানে গোবিন্দগঞ্জ ৪-৩ গোলে গাইবান্ধা পৌরসভাকে হারিয়ে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয়।

 

গোটা ম্যাচজুড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা শক্তিশালী রক্ষণ ও পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে সমানে সমান লড়াই উপহার দেন। ফলে নির্ধারিত সময় শেষে খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।

 

ট্রাইব্রেকারে গোবিন্দগঞ্জ দলের গোলরক্ষক একটা শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন, যা গোবিন্দগঞ্জের জয়ের প্রধান ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।

 

 

উক্ত খেলায় ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হয়ে গাইবান্ধা পৌরসভা দলের অধিনায়ক অস্থির সজীব, সেরা গোলদাতার শিরোপা অর্জন করেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দলের নাবিব নেওয়াজ জীবন।

এদিকে এই ম্যাচের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল লাখো দর্শকের উপস্থিতি, যা স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অনেকগুণ বেশি। চারদিক থেকে ছুটে আসা দর্শকদের উৎসাহে খেলার মাঠ কেঁপে ওঠে। মাঠের চারপাশ, গ্যালারি, ছাদ এমনকি আশেপাশের ভবনের ছাদও ছিল দর্শকে ঠাসা।

 

দর্শকদের উল্লাস, বাঁশি, ঢাক-ঢোল ও পতাকায় পুরো শহর পরিণত হয়েছিলো এক বিশাল ক্রীড়ানন্দ উৎসবে। এমন দর্শকপ্রবাহ আগে গাইবান্ধার কোনো টুর্নামেন্টে দেখা যায়নি বলে জানান জেলার ক্রীড়া সংগঠকেরা।

 

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ। তিনি বলেন,

“লাখো দর্শকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে গাইবান্ধাবাসী খেলাধুলাকে কতটা ভালোবাসে। এ ধরনের আয়োজন যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে।”

 

এই টুর্নামেন্টে জেলার ৬ টি উপজেলা ও একটি পৌরসভার দল অংশ নেয়। প্রতিটি ম্যাচ ছিল উপভোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, তবে ফাইনাল ম্যাচের আবেগ, উত্তেজনা এবং দর্শক-উপচে পড়া ভিড় গাইবান্ধার ক্রীড়া ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন খেলা দেখতে আসা অনেক দর্শক।

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

ডিসি ফুটবল টুর্নামেন্টে গোবিন্দগঞ্জের বিজয়: লাখো দর্শকের উল্লাসে কেঁপে উঠলো স্টেডিয়াম

প্রকাশের সময়: ০২:৪০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

তাসলিমুল হাসান সিয়াম: গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচে উত্তেজনাপূর্ণ ট্রাইব্রেকারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা গাইবান্ধা পৌরসভা দলকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে নেয়।

 

গ্যালারি ও মাঠ  ভর্তি দর্শক। ছবি: কালের চিঠি 

১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে গোল সংখ্যা ২-২ হওয়ায় খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। সেখানে গোবিন্দগঞ্জ ৪-৩ গোলে গাইবান্ধা পৌরসভাকে হারিয়ে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয়।

 

গোটা ম্যাচজুড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা শক্তিশালী রক্ষণ ও পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে সমানে সমান লড়াই উপহার দেন। ফলে নির্ধারিত সময় শেষে খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।

 

ট্রাইব্রেকারে গোবিন্দগঞ্জ দলের গোলরক্ষক একটা শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন, যা গোবিন্দগঞ্জের জয়ের প্রধান ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।

 

 

উক্ত খেলায় ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হয়ে গাইবান্ধা পৌরসভা দলের অধিনায়ক অস্থির সজীব, সেরা গোলদাতার শিরোপা অর্জন করেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দলের নাবিব নেওয়াজ জীবন।

এদিকে এই ম্যাচের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল লাখো দর্শকের উপস্থিতি, যা স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অনেকগুণ বেশি। চারদিক থেকে ছুটে আসা দর্শকদের উৎসাহে খেলার মাঠ কেঁপে ওঠে। মাঠের চারপাশ, গ্যালারি, ছাদ এমনকি আশেপাশের ভবনের ছাদও ছিল দর্শকে ঠাসা।

 

দর্শকদের উল্লাস, বাঁশি, ঢাক-ঢোল ও পতাকায় পুরো শহর পরিণত হয়েছিলো এক বিশাল ক্রীড়ানন্দ উৎসবে। এমন দর্শকপ্রবাহ আগে গাইবান্ধার কোনো টুর্নামেন্টে দেখা যায়নি বলে জানান জেলার ক্রীড়া সংগঠকেরা।

 

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ। তিনি বলেন,

“লাখো দর্শকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে গাইবান্ধাবাসী খেলাধুলাকে কতটা ভালোবাসে। এ ধরনের আয়োজন যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে।”

 

এই টুর্নামেন্টে জেলার ৬ টি উপজেলা ও একটি পৌরসভার দল অংশ নেয়। প্রতিটি ম্যাচ ছিল উপভোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, তবে ফাইনাল ম্যাচের আবেগ, উত্তেজনা এবং দর্শক-উপচে পড়া ভিড় গাইবান্ধার ক্রীড়া ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন খেলা দেখতে আসা অনেক দর্শক।